হোন্ডায় চড়ে পার হলো জাপান
>ইয়েকাতেরিনবুর্গে সেনেগালের বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছে জাপান। ১১ মিনিটে সেনেগালকে এগিয়ে নেন সাদিও মানে। ৩৪ মিনিটে জাপানকে সমতায় ফেরান ইনুই। ৭১ মিনিটে সেনেগালকে এগিয়ে নেন ওয়াগুয়ে। ৭ মিনিট পর জাপানকে সমতায় ফেরান হোন্ডা।
কেইসুকে হোন্ডাকে নামানো হলো ৭২ মিনিটে। নেমেই গোলের দেখা পেতে নিলেন মাত্র ৬ মিনিট। সেনেগাল গোলরক্ষক খাদিম এন’দিয়ায় খুব যে বড় ভুল করেছেন, তা নয়। তবে এ সময়ে সামান্যতম ভুলেরও বড় মূল্য দিতে হয়, সেনেগালকে সেটিই দিতে হয়েছে। পাকা গোলশিকারির মতো ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন হোন্ডা। তাকাসি ইনুইয়ের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ফাঁকা পোস্টে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি জাপানি মিডফিল্ডার। হোন্ডার গোলেই ইয়েকাতেরিনবুর্গে সেনেগালের বিপক্ষে ২-২ সমতায় মাঠ ছেড়েছে জাপান।
বিশ্বকাপে আজই প্রথম এশীয় দলের বিপক্ষে খেলল সেনেগাল। জাপানের বিপক্ষে অভিজ্ঞতা খারাপ না হলেও সুখকরও হলো না। দুবার এগিয়ে থেকেও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বলে সেনেগালের খেলোয়াড়দের হতাশ হতে দেখা গেল ম্যাচ শেষে। শেষ পর্যন্ত হারতে হয়নি, এতেই জাপানকে অনেক খুশি দেখাল! কিন্তু হতাশ তো জাপানেরই হওয়ার কথা। যে সুযোগ তারা হাতছাড়া করেছে, কিংবা যেভাবে আক্রমণ করেছে, নীল সামুরাইরা জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারত।
১২ মিনিটে পাঞ্চ করতে গিয়েই ভুলটা করলেন জাপানি গোলরক্ষক এইজি কাওয়াশিমা। জাপানের গোলরক্ষকের ভুল টেকনিকের সুযোগ নিলেন মানে। এগিয়ে গেল সেনেগাল। ৩৪ মিনিটে ইয়োতো নাগাতোমোর সঙ্গে তাকাশি ইনুইর অসাধারণ এক বোঝাপড়ায় সমতায় ফিরল জাপান। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকেই বলটা বানিয়ে দিলেন ইনুইকে। ইনুই ভুল করেননি গোলপোস্ট খুঁজে নিতে। প্রথমার্ধ শেষ ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগালের চেয়ে যেন গোল পেতে জাপানিই বেশি মরিয়া ছিল। ৬০ মিনিটে ওয়ান-টু খেলে অসাধারণ বিল্ডআপে জাপানিজরা হামলে পড়লেন সেনেগালের রক্ষণে। ইয়ায়ু ওসাকাকে শুধু পা ছোঁয়ালেই হতো। এটাই পারলেন না! অল্পের জন্য ২-১ হলো না জাপানের। ভাগ্যের ছোঁয়াও তারা পায়নি ৬৪ মিনিটে। ইনুইয়ের মাপা শটটা লাগল একেবারে ক্রসবারে। কোথায় গোল দেবে, তা নয়; উল্টো ৭১ মিনিটে খেয়ে বসল জাপান। ইউসুফ সাবালির পাসটা ব্যাকহিলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন এম’বায়ে নায়েং। পারেননি। তাঁর পরেই থাকা ওয়াগুয়ে হাতছাড়া করেননি সুযোগটা, দলকে এগিয়ে নিলেন সেনেগাল ডিফেন্ডার।
সুন্দর ফুটবল খেলেও হারতে হবে জাপানকে? এই প্রশ্ন যখন ইয়েকাতেরিনবুর্গের আকাশে, ভুম-ভুম করে চলে এলেন হোন্ডা। বদলি নেমে করলেন গোল। হারতে হলো না, হোন্ডায় চড়ে পার হলো জাপান! একমাত্র জাপানি ফুটবলার হিসেবে তিন বিশ্বকাপেই করলেন গোল। শৈশবে ভিসিআরে পেলের খেলা দেখে যাঁর ফুটবলার হওয়া, সেই হোন্ডাই এখন এশীয়দের মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা।