আর্জেন্টিনা-ভক্তের আত্মহত্যা! কিন্তু কেন?
>ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলের হার সইতে না পেরে ভারতের এক আর্জেন্টাইন-ভক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে!
‘এই পৃথিবীতে আমার আর কিছু দেখা বাকি নেই। আমি মৃত্যুর গভীরতায় চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’—ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলে হারের পর এই চিঠিটি লেখার মধ্যেই ছিল ডিন অ্যালেক্সের শেষ উপস্থিতি। এরপর থেকে আর হদিস নেই ভারতের কেরালা রাজ্যের এই ব্যক্তির। চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
৩০ বছর বয়সী অ্যালেক্স একটি বেসরকারি ফার্মের অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। ছিলেন মেসি ও আর্জেন্টিনার বড় ভক্ত। খেলার আগে সে তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের বলেছিলেন, মেসি গোল করবে ও জয় পাবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু দল বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপের খাদের কিনারায় চলে যাওয়ায় সমর্থক হিসেবে ধাক্কাটা সামলে নিতে পারেননি। ম্যাচের পর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ। পরে সকালে পাওয়া যায় চিঠিটি। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির পাশে মীনাচল নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন অ্যালেক্স।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা নদীতে তল্লাশিও চালিয়েছিলেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাত ও স্রোতের জন্য ভালোভাবে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি।
অ্যালেক্স হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন, খেলাটা শুধুই একটি বিনোদন। যার হার বা জিত নিজের জীবনের কাছে খুবই তুচ্ছ। মেসির চোখের জল বা আর্জেন্টিনার বিদায়ের শঙ্কা—কোনোটাই নিজের মা-বাবার চোখের জলের চেয়ে বড় নয়। দিন শেষে ওটা শুধুই একটি খেলা ও বিনোদনের খোরাক। কিংবা এমনও হতে পারে, অন্য দলের সমর্থকদের ক্রমাগত মানসিক অত্যাচারের শিকার তিনি। নিজ দলকে বড় করে দেখাতে অন্য দলকে ছোট করে দেখার জন্য সমর্থকেরা কখনো কখনো সীমা তো ছাড়িয়ে যানই।
বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে সমর্থকদের খুনোখুনির খবর। অ্যালেক্সের শেষ পরিণতি কী হয়েছে, কী কারণে এমন করেছেন; তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে কারণটা যদি ফুটবল হয়; শুনলে মেসিও বলবেন, ফুটবল শেষ পর্যন্ত তো খেলাই, ভাই!