বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা সেনেগালের
সেনেগাল বনাম পোল্যান্ড ম্যাচ। সাদিও মানে বনাম রবার্ট লেভানডফস্কিও। দুই দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের লড়াই হিসেবেই দেখা হচ্ছিল গ্রুপ ‘এইচে’র এই ম্যাচকে। তবে দুই তারকাকে ছাপিয়ে আলোচনায় থাকল ভাগ্য। ভাগ্যকে সঙ্গী পেয়ে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখল সেনেগাল। পোল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপপর্ব জমিয়ে দিল সেনেগাল।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল খেয়ে বসে পোল্যান্ড। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন সেনেগালের এক খেলোয়াড়। ভয়চেক সেজনি সেদিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে শট থিয়াগো চিওনেকের পায়ে লেগে দিক বদলাল। হতভম্ব সেজনি দেখলেন, কীভাবে বল জড়িয়ে যাচ্ছে জালে। ৬০ মিনিটে এম’বায়ে নিয়াং ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন পোল্যান্ড রক্ষণেরই ভুলে। ৮৬ মিনিটে জেগোশ ক্রিকোভিয়াক ব্যবধান কমিয়েছেন, কিন্তু ওতেও শেষরক্ষা হয়নি।
২০০২ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকেই চমকে দিয়েছিল সেনেগাল। আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে স্তব্ধ করে ম্যাচ বের করে নিয়েছিল তারা। এরপর আর বিশ্বকাপে আসা হয়নি তাদের। তিন বিশ্বকাপ বিরতি দিয়ে ফিরেছে তারা, সেটাও জয় দিয়ে। ম্যাচে বল নিয়ন্ত্রণ কিংবা গোলে শট নেওয়ার দিক থেকে পোল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়েই ছিল। কিন্তু ম্যাচ জিততে যে ওসবে এগিয়ে থাকতে হয় না, সেটা তো ১৬ বছর আগেই দেখিয়েছে সেনেগাল।
হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর জন্য পোল্যান্ডে কোনো অজুহাত দিতে পারবে না। প্রথম আত্মঘাতী গোলের পক্ষে তবু যুক্তি দেওয়া যায়, দ্বিতীয় গোলের তো কোনো অর্থ হয় না। সেনেগালের অর্ধে বল পেয়ে পেছনে ব্যাক পাস দিয়েছিলেন ক্রিকোভিয়াক। বলটা পেছনে পাঠানোর মুহূর্তেও মাঠের বাইরে ছিলেন এম’বায়ে নিয়াং। হঠাৎ করে ওভাবে বল আসতে দেখে এবং আস পাশে পোল্যান্ডের কোনো ডিফেন্ডার না দেখে ছুট লাগালেন। সেজনি এগিয়ে এসে চার্জ করতে গিয়েও পারলেন না নিয়াংকে আটকাতে।
নিয়াং বলটা জালে পাঠিয়ে তবেই দৌড় থামালেন (২-০)। দুই গোল খাওয়া পোল্যান্ড এরপর আক্রমণের পর আক্রমণ করেছে। কিন্তু গোল পেতে পেতে বড্ড দেরি হয়ে গেছে তাদের। ৮৬ মিনিটে এক ফ্রিকিক থেকে পাওয়া ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে আশা জাগিয়েছিলেন ক্রিকোভিয়াক। কিন্তু সেনেগালের বিশ্বকাপের শুভ সূচনায় দাগ ফেলতে পারেনি পোল্যান্ড।