গ্যারি লিনেকারের পর হ্যারি কেন

নিজের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই কেইন করেছেন জোড়া গোল।(ফাইলছবি)
নিজের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই কেইন করেছেন জোড়া গোল।(ফাইলছবি)
গ্যারি লিনেকার শেষবার। এরপর হ্যারি কেন। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে দুই জোড়া গোলের মাঝখানে বিরতি ছিল ২৮ বছর!


সেই ১৯৯০ সালে শেষবার। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৮টি বছর। গ্যারি লিনেকারের মাধ্যমে বিশ্বকাপ শেষবারের মতো দেখেছিল কোনো ইংলিশ ফুটবলারের জোড়া গোলের কীর্তি। গতকাল সেই কীর্তি গড়েই ইংলিশদের স্মৃতিকাতর করে তুললেন হ্যারি কেন! গ্যারি থেকে হ্যারির গল্পটা ইংলিশ ফুটবলের এক বড় হাহাকারের গল্পও।

হাহাকার তো বটেই। নব্বইয়ের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যামেরুনের বিপক্ষে কিংবদন্তি স্ট্রাইকার লিনেকারের সেই জোড়া গোলের পর বিশ্বকাপে কোনো ইংলিশ ফুটবলারের জোড়া গোল পেতে যে ২৮ বছর পেরিয়ে যাবে, সেটা আর কে ভেবেছিল। অথচ, লিনেকারের পর ইংল্যান্ডের জার্সিতে কত বড় বড় নাম—অ্যালান শিয়েরার, মাইকেল ওয়েন, ওয়েইন রুনি, পিটার ক্রাউচ। স্টিভেন জেরার্ড, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডরাও পারেননি জোড়া গোল করতে। ২৮ বছর পর এসে জোড়া গোল কেনের। টটেনহামের এই স্ট্রাইকার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হচ্ছে।

১১ মিনিটে সুযোগসন্ধানী এক গোল দিয়ে শুরু করেছিলেন কেন। কিন্তু সেই গোলটি ধরে রাখা যায়নি। তিউনিসিয়াকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে সুন্দর শুরুটাই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ইংলিশদের। আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু গোলটাই পাচ্ছিল না তারা। ফরোয়ার্ডরা যখন মাথা কুটে মরছেন, ঠিক তখনই ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবার কেনের গোল! জোড়া গোল। তবে দুই গোলের কীর্তি গড়েও কেনের আফসোস হ্যাটট্রিক না করতে পেরে। সেটি করতে পারলে ওই লিনেকারের সঙ্গেই ব্র্যাকেটবন্দী হতে পারতেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট বিজয়ী লিনেকার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সেবারই শেষ হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন।

কেন হ্যাটট্রিক না পেয়ে দুষেছেন রেফারিকেই। ফাউলের শিকার হয়েছেন গোটা ম্যাচেই। ন্যায্য পেনাল্টি না পাওয়ার ক্ষোভ তাঁর আছেই, ‘এই বিশ্বকাপেই দেখেছি, অনেক কম মারাত্মক ফাউল করার পরেও পেনাল্টি হয়েছে। অথচ, আমরা পেলাম না।’

৯০ এর বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারের জোড়া গোলে ইংল্যান্ড উঠেছিল শেষ চারে। (ফাইলছবি)
৯০ এর বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারের জোড়া গোলে ইংল্যান্ড উঠেছিল শেষ চারে। (ফাইলছবি)

কেন অবশ্য খুশি দলকে জেতাতে পেরেই, ‘এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমরা জিতেছি, এটাই বড় কথা। দেশের মানুষকে আনন্দিত করতে পেরেছি, এটাই আসল। আমি দল নিয়ে গর্বিত। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি—এটা বলতে পারি।’