'ব্রাজিল-সমর্থকদের রিকশায় নেই না'
>আর্জেন্টিনার পাঁড় সমর্থক তিনি। রিকশা চালান ঢাকা শহরে। নিজের রিকশাটা সাজিয়েছেন আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা রঙে। আত্মবিশ্বাসী তিনি—আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জিতবেই।
হঠাৎ ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় দেখা মিলল মেসির। হ্যাঁ, মেসিই। লিওনেল মেসি নন, আবু তাহের মেসি। পেশায় রিকশাচালক। মেসির জার্সি পরে ঘুরছেন বলেই তাঁর নাম ‘মেসি’ নয়। প্রিয় তারকাকে বিশ্বকাপের শুভকামনা জানাতেই নিজের নাম নিয়েছেন ‘মেসি’। আর্জেন্টিনাপ্রীতি দেখে এলাকার মানুষও নাকি তাঁকে ডাকে মেসি বলে। পাঁড় ভক্ত বলে নিজের রিকশাটাও সাজিয়েছেন আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা রঙের পতাকায়।
রিকশার চাকা থেকে শুরু করে হুড—পুরোটাই সাজিয়েছেন আর্জেন্টিনার রঙে। হুডের চারপাশ মুড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকা দিয়ে। মেসির ছবিও লাগিয়েছেন তাতে। আর্জেন্টাইন তারকার ছবির পাশে নিজের ছবিটাও সেঁটেছেন। নিজের দেশকেও অবশ্য ভোলেননি তিনি। রিকশাজুড়ে আর্জেন্টিনার পতাকার সঙ্গে চোখে পড়ল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকাও।
আর্জেন্টিনার জন্য নিতান্ত পাগল না হলে এমনটা কেউ করেন না। বলা চলে, আবু তাহের আর্জেন্টিনার জন্য পাগলই। বললেন, অনেক আগে থেকেই তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক, ‘ম্যারাডোনার সময় থেকে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করি।’ ৩২ বছর আগে আর্জেন্টিনার শেষ বিশ্বকাপ-গৌরবেরও সাক্ষী তিনি, ‘ছিয়াশি সাল থেকেই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করি।’
সারা দিন রিকশা চালান। ব্রাজিলের সমর্থকেরা নিশ্চয়ই তাঁর রিকশায় ওঠেন। প্রসঙ্গটা উঠতেই তাহেরের সোজাসাপটা উত্তর, ‘ব্রাজিলের সমর্থকেরা আমার রিকশায় ওঠে না। আমিও নেই না।’
তবে ব্রাজিলের সমর্থকদের খুনসুটির খপ্পরে পড়েন প্রায়ই। আর্জেন্টিনা–পাগল বলেই হয়তো আরও বেশি। ওসব একেবারেই পাত্তা দেন না তিনি। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময়ই পাশে থেকে এক ব্রাজিল-সমর্থকের কটু মন্তব্য উড়িয়ে দিলেন এক কথাতেই, ‘এইবার আর্জেন্টিনাই চ্যাম্পিয়ন!’
আশায় বুক বাঁধেন তাহের আর তাঁর মতো অজস্র আর্জেন্টিনা-ভক্ত। ৩২ বছর পর এবার তাঁরা হাসবেনই। নিশ্চয়ই হাসবেন।