২০১৪ বিশ্বকাপেও তো ছিলেন জেসুস!

চার বছর আগের ‘মিনেইরো ট্র্যাজেডি’ টাচলাইনের ভেতরে থেকে দেখতে পারেননি। গ্যাব্রিয়েল জেসুস যে তখন মাত্র ১৬ বছরের কিশোর। জাতীয় দলে ঢুকেছেন এর দুই বছর পর। কিন্তু ‘মারাকানা ট্র্যাজেডি’র পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়টা জেসুস নিশ্চয়ই দেখেছিলেন। আর যাই হোক ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হারের ক্ষত যেকোনো ব্রাজিলিয়ানের জন্য ভুলে থাকা অসম্ভব।
জেসুস নিজেও তা মনে রেখেছিলেন বলেই হয়তো নিজেকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছেন। বিখ্যাত হলুদ জার্সিটা গায়ে চাপানোর পর কাল রাতে পেয়েছিলেন ক্ষত মোচনের সুযোগ। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেই হারের পর জাতীয় দল পর্যায়ে প্রথমবারের মতো জার্মানির মুখোমুখি ব্রাজিল—জেসুস এ ম্যাচে দেশের জয়সূচক গোলদাতা। কিন্তু দেশের মাটিতে সর্বশেষ সেই বিশ্বকাপের সময় জেসুস কোথায় ছিলেন?
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পরম্পরা বিচারে দলটির সমর্থকদের জন্য এমন প্রশ্নটা স্বাভাবিক। যেমন ধরুন, ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলে-টোস্টাওরা মাঠ মাতানোর সময় সক্রেটিস কোথায়, কেমন ছিলেন? কিংবা ২০০৬ বিশ্বকাপে এক জিনেদিন জিদানের কাছে ব্রাজিলের হারের সময় নেইমারের কী অবস্থা? ব্রাজিলিয়ান আক্রমণের ‘ভবিষ্যৎ’ হিসেবে কথিত জেসুসের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন খাটে। তো, জেসুস কিন্তু সেই বিশ্বকাপের আবহের মধ্যেই ছিলেন। মানে বিশ্বকাপের সাজ সাজ রবে জেসুসও ছিলেন।
বিশ্বকাপের সেই সময় জেসুস পালমেইরাসের স্ট্রাইকার। উঠতি প্রতিভাও। দেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত সেই বিশ্বকাপের সাজসজ্জায় তার নিজেরও অবদান ছিল। জেসুসের বেড়ে ওঠা সাও পাওলোর জার্দিম পেরি অঞ্চলে। ২০১৪ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই পালমেইরাসে যোগ লিখিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির এ স্ট্রাইকার। এর কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ উপলক্ষে বন্ধুদের নিয়ে নিজ অঞ্চলের রাস্তাঘাট রং করেছেন জেসুস। এর আগে টুইটারে সেই ছবিই প্রকাশিত হয়।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে খালি পায়ে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে রাস্তা রং করছেন জেসুস। তখন কী জানতেন, পরের বিশ্বকাপে তিনি হতে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা!