ধরুন, কোনো এক অনুষ্ঠানে ডিস্ক জকির কাজ করছেন। অথচ অনুষ্ঠানের অতিথিরা সবাই গোমড়ামুখে বসে আছেন। একজন ডিজের কাছে এই দৃশ্য কি দুঃস্বপ্নের মতো? প্রশ্ন করেছিলাম ডিজে সনিকাকে। সনিকা বললেন, ‘দুঃস্বপ্ন না। আমার কাছে এটা অষ্টমাশ্চর্য। ...নাহ্, তাও না। এটা অসম্ভব! আমরা যেভাবে মানুষকে আনন্দ দিই, গোমড়ামুখে বসে থাকা সম্ভব না।’
যেকোনো অনুষ্ঠানে অতিথিদের মাতিয়ে তোলা—এ হলো একজন ডিজের কাজ। বিভিন্ন গান মিশিয়ে বা ‘মিক্সিং’ করে ডিস্ক জকি বা ডিজেরা এটি করে থাকেন। বর্তমানে বিভিন্ন কনসার্ট, অনুষ্ঠান এমনকি ঘরোয়া আয়োজনেও ডাক পড়ছে ডিজেদের। বাংলাদেশের ডিজেরা কাজ করছেন দেশের বাইরেও। ডিস্ক জকিদের মতে, ডিজে হতে চাইলে অবশ্যই মিউজিক সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে। কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজানোর অভিজ্ঞতা থাকলে তা কাজে আসবে।
ডিজে রাহাত বললেন, ‘বাংলাদেশে ডিজেদের কাজের এখন প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এ পেশায় সফলতা অর্জন করছেন।’ এ দেশে ডিজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খুব বেশি দিন হয়নি। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির এই ধারাকে এখনো কি কেউ বাঁকা চোখে দেখেন? প্রশ্নটা লুফে নিলেন ডিজে রাহাত, ‘এটা হবেই। বাংলাদেশে শুরুর দিকে যাঁরা ব্যান্ড মিউজিক করতেন, তাঁরাও অনেক রকম কথা শুনেছেন। নতুন কিছুকে গ্রহণ করতে একটু সময় লাগেই। যাঁরা সংস্কৃতির এই ধারা সম্পর্কে ভালো করে জানেন, আমার বিশ্বাস তাঁরা অবশ্যই সাদরে গ্রহণ করবেন।’
ডিজেদের ডিস্ক বাজানোর যন্ত্রটি কিনতে পারবেন ওয়ার্ল্ড মিউজিক কিংবা মেলোডির শোরুম থেকে। এ ছাড়া এটি ভাড়াও পাওয়া যায়। ডিজে হতে চাইলে যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন:
গ্যারেজ
গ্যারেজের কর্ণধার ডিজে রাহাত। এখানে শেখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোর্স আছে। খরচ পড়বে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিস্তারিত জানতে ঢুঁ মারতে পারেন গ্যারেজের ওয়েব ঠিকানায়: www.garage-bd.com
আইস গিয়ার
আইস গিয়ারে আপনি ডিস্ক জকির কাজটা শিখে নিতে পারবেন ডিজে প্রিন্সের কাছ থেকে। তিন মাসের কোর্স সম্পন্ন করতে খরচ পড়বে ২৫ হাজার টাকা। ফোন: ০১৬৮৪৭২৯৮৭৮
এমএনআর (মিউজিক অব নিউ রিদম)
মিউজিক অব নিউ রিদমের অফিস সিদ্ধেশ্বরীতে। তিন মাসের কোর্সে খরচ পড়বে ১২ হাজার টাকা। ফোন: ০১৯৩৭০৭৩৩৫০।