বিড়ালের সঙ্গে ঘুমিয়ে আয়

বিড়ালের সঙ্গে ঘুমাচ্ছেন টেরি লরমেন
বিড়ালের সঙ্গে ঘুমাচ্ছেন টেরি লরমেন

ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও যে আয় করা যায়, তার উদাহরণ তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেরি লরমেন। ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বিড়ালের সঙ্গে ঘুমিয়ে দুদিনে আয় করেছেন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই আয় তিনি নিজের জন্য নয়, পোষা প্রাণীর একটি আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের গ্রিন বে শহরে পোষা প্রাণীর জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বিড়াল, কুকুরের মতো যে পোষা প্রাণীগুলো শারীরিক বা অন্য কোনো সমস্যায় ভুগছে, তাদের উইসকনসিন সেফ হ্যাভেন পেট স্যাংকচুয়ারি নামের ওই কেন্দ্র পুনর্বাসন করে। এলিজাবেথ ফেল্ডহজেন প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। টেরি লরমেন সেখানেই কাজ করেন। তবে এই কাজের বিনিময়ে তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না।

লরমেনের কাজটা একটু অদ্ভুত। বেশির ভাগ দিন তিনি ওই কেন্দ্রে বিড়ালকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে বা ঝিমিয়ে সময় পার করেন। তাঁর এভাবে ঘুমানোর কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবি মানুষের মনকে এমনভাবে ছুঁয়ে গেছে যে প্রতিষ্ঠানটি সেগুলোর বদৌলতে মাত্র দুদিনে ৩০ হাজার ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।

এলিজাবেথ ফেল্ডহজেন বলেন, তাঁদের এই ছোট উদ্যোগ বড় দাগ কেটেছে মানুষের মনে। কেউ এক ডলার, কেউ দুই ডলার, আবার কেউ পাঁচ ডলার করে দিচ্ছেন। লরেন একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। নিজের হাতে কেন্দ্রটি ঝেড়ে-মুছে বিড়ালদের জন্য বাসযোগ্য করে তোলেন।

এলিজাবেথ জানান, প্রিয় বিড়ালকে নিয়ে লরমেনের ঘুমানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম যখন পোস্ট করলেন তাঁরা, ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেল। এক দিনের মধ্যেই বিড়ালটিকে নিয়ে গেল একটি পরিবার। মজা করেই এলিজাবেথ বলেন, ঘুমের শক্তি আবারও প্রমাণিত হলো।