কানাডায় বাংলাদেশি সবজি চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে
কানাডায় বাংলাদেশি সবজি চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশীয় সবজি চাষ-বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ গত ৩০ এপ্রিল টরন্টোর ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউয়ের এক্সেস পয়েন্টে এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে টরন্টোর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় কানাডায় বাংলাদেশি সবজি চাষ বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলি।
কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি এগ্রিকালচারিস্ট ইন কানাডার (আবাকান) সেক্রেটারি ড. শিরীন নুরুন নাহার খানম ও কৃষিবিদ ফায়জুল করিম, কানাডিয়ান সেন্টারের সৈয়দ ফখরুদ্দিন, তৌহিদা চৌধুরী প্রমুখ।
কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে কানাডায় সীমিত আকারে বাংলাদেশি শাক-সবজি চাষ হয়ে আসলেও বর্তমানে কমিউনিটিতে এটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ও প্রসার লাভ করেছে।
ইপসা ১ ও ২ এর উদ্ভাবনকারী এ কৃষিবিজ্ঞানী বলেন, কানাডায় শাক-সবজি চাষের বিষয়টা শুধু আনন্দই দেয় না, শারীরিক ও মানসিকভাবেও সুস্থ রাখে।
বাড়ির আঙিনা, সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ জায়গা, খামার কিংবা বারান্দায় নানা জাতের দেশীয় সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে কানাডায় বাংলাদেশি অভিবাসীরা। দেশীয় বিভিন্ন সবজি যেমন-টমেটো, মরিচ, আলু, লাউ, করলা, শসা, চিচিঙ্গা, পুঁই শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষের প্রস্তুতি চলছে এখনই। সবজি চাষের উপযুক্ত সময়, বীজ বা চারা রোপণ প্রক্রিয়া, এর পরিচর্যা সম্পর্কে আগ্রহীদের তথ্য প্রদান করাই ছিল এই সেমিনারের উদ্দেশ্য।
কানাডায় বাংলাদেশি কৃষিবিদদের সংগঠন আবাকানের কারিগরি সহায়তায় কানাডিয়ান সেন্টার দেশীয় সবজি চাষে আগ্রহীদের সহায়তার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে সেমিনারের আয়োজন করবে। পরবর্তী সেমিনার ১৮ মে শনিবার বেলা ১১টায় টরন্টোর ৩০৭৯ ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউয়ের এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালায় অংশগ্রহণে আগ্রহীরা ১৫ মের মধ্যে [email protected] এই ই-মেইলে যোগাযোগ করে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।