নেত্রকোনা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষবরণ
বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিল নেত্রকোনা জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক। নিউইয়র্কে উডসাইডের গুলশান টেরেসে ২১ এপ্রিল বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় নেত্রকোনা প্রবাসীদের এ মিলন মেলা। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছাড়াও জমজমাট এ উৎসবে ছিল নিউইয়র্ক প্রবাসী নেত্রকোনার গৃহিণীদের হাতে তৈরি বাঙালি খাবার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি জহুরুল হক। সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা জামান ইদ্রিছীর সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা ইয়াসমিন ইদ্রিছী ও কার্যকরী সদস্য খন্দকার জাহাঙ্গীর হায়দারেরর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির সদস্য মো. নূরুল হক, রফিকুল ইসলাম সোহাগ, মো. জামাল উদ্দিন, মো. শাহজাহান শফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মো. বজলুর রহমান, মো. ফকরুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার, এসএমকিউ ফয়সাল, উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. বশির ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত জাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া। সভাপতি মোস্তফা জামান ইদ্রিছীর আলোচনা সমাপ্তির পর শুরু হয় আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক পর্ব।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল নেত্রকোনার গৃহিণীদের হাতে তৈরি নানা খাবার। এর মধ্যে ছিল চেপা শুঁটকিসহ ১৪ রকমের ভর্তা ও নেত্রকোনার বিভিন্ন রকমের পিঠা। ঝালমুড়ি পরিবেশন ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় অনুষ্ঠানের অতিথিদের। এ ছাড়া বাঙালি কোনো অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো যোগ দেওয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জামান ইদ্রিছীর ছেলে ড. আশিকুজ্জামান ইদ্রিছী ও তাঁর স্ত্রী এমেন্ডা ইদ্রিছীকে একগুচ্ছ গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উৎসবপ্রিয় বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। এ উৎসব বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত সংস্কৃতির অংশ। প্রবাস প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রাণের এ সংস্কৃতি। এ আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের কৃষ্টির সঙ্গে পরিচিত করার একটি বড় সুযোগ।
সাংস্কৃতিক পর্বে প্রবাসের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী শাহ্ মাহাবুবসহ অন্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। নাচ পরিবেশন করেন লামিয়া তাবাস্সুম নীহা। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী নেত্রকোনাবাসী গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। উৎসব আয়োজনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ।