অভিবাসন বিভাগকে তথ্য দেওয়ায় হোটেলকে জরিমানা
আমেরিকার অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য দেওয়ায় বিপুল অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের একটি হোটেলকে। অভিবাসন বিভাগকে অতিথিদের ব্যক্তিগত অবস্থান ও তথ্য দেওয়ায় ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকটি হোটেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে ‘মোটেল-৬’ নামের একটি আবাসিক হোটেল মামলা নিষ্পত্তির জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে।
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ১১ এপ্রিল ঘোষণা করে, মোটেল অপারেটর অবৈধভাবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ৮০ হাজার গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করেছে। ওয়াশিংটনের সাতটি অবস্থান থেকে অপারেটররা এ তথ্য দিয়ে আসছিল। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিবাসন কর্মকর্তাদের এ তথ্য সরবরাহ করে আসছে তারা। কোনো পরোয়ানা ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে আসছিল তারা।
অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসনের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মোটেল ৬’ অতিথিদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি তাদের সম্মতি ছাড়াই প্রকাশ করেছে। এতে প্রত্যেক অতিথির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়েছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ গোপনীয় তথ্য পাওয়ায় অনেক অভিবাসীকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য ও অবস্থান সম্পর্কে জেনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেন। এমনকি এ কারণে অনেক অভিবাসী বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপেরও শিকার হয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তাদের দেওয়া তথ্যর কারণে আজ অনেক পরিবারকে অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, এক ব্যক্তিকে ‘মোটেল- ৬’ এর সিয়াটল শাখা থেকে আটক করে পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছিল। নিজের চার সন্তানের জন্য কেনা ক্রিসমাসের উপহার মোড়কবদ্ধ করতে ওই ব্যক্তি আগের রাতে থাকা হোটেলটিতে আসেন। কিন্তু আইস এজেন্টরা তাঁকে হোটেলের পার্কিং লট থেকেই আটক করে আটককেন্দ্রে নিয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্ত্রীকে ‘মোটেল ৬’ থেকে সন্তানদের জন্য কেনা উপহারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করতে হয়েছিল। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়, ফেরত পাঠানো লোকটি তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীকে চার সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
আমেরিকার ‘মোটেল-৬’-এর মোট ১ হাজার ৪০০টি শাখা রয়েছে। ‘মোটেল ৬’ স্বীকার করেছে যে, অন্তত ছয়জন অতিথির ব্যক্তিগত তথ্য তারা আইস এজেন্টদের দিয়েছে। তারা স্বীকার বলেছে, প্রকাশিত ব্যক্তিগত তথ্যর মধ্যে গ্রাহকদের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট ও গ্রিনকার্ডের তথ্য, রুম নম্বর, অতিথি শনাক্তকরণ নম্বর, জন্ম তারিখ ও লাইসেন্স প্লেট নম্বর অন্তর্ভুক্ত। হোটেলের অতিথিদের না জানিয়ে তাদের সম্পর্কে অন্যদের তথ্য সরবরাহ করাটা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। ব্যক্তিগত অধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণে হোটেলটির বিরুদ্ধে মামলা করা হলে তারা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়েছে।
কোম্পানিটির মুখপাত্র বলেন, অতিথির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার এবং আমরা এই বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরে আনন্দিত।
ভিসা সম্পর্কিত বার্তা
পরিবারভিত্তিক এবং চাকরিভিত্তিক ভিসা প্রদানের বার্ষিক সংখ্যা কংগ্রেস কর্তৃক সীমাবদ্ধ। এই ক্যাটাগরির আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নির্ধারিত হয় যদি তাঁদের অগ্রাধিকার তারিখ হালনাগাদ থাকে ও ভিসার সংখ্যা বর্তমান থাকে। যদিও সম্ভাবনা আছে, অগ্রাধিকার তারিখের পরিবর্তন হতে পারে এবং সাক্ষাৎকারের সময় ভিসার সংখ্যা আর বর্তমান নাও থাকতে পারে। আপনার ক্যাটাগরির ভিসার সংখ্যা যদি বর্তমান না থাকে, তবুও আপনার সাক্ষাৎকার যথা সময়ে হবে, তবে আপনার ভিসা ততদিন পর্যন্ত ইস্যু হবে না, যতদিন পর্যন্ত অগ্রধিকার তারিখ হালনাগাদ হয় এবং নতুন ভিসার সংখ্যা বর্তমান হয়। সকল অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীগণ তাঁদের অগ্রাধিকার তারিখের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে (https://bit.ly/2EfaUuN) ভিসা বুলেটিন দেখতে পারেন।
বর্তমান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে েয সকল তারিখ সমূহের কাজ চলছে:
মাস : এপ্রিল ২০১৯
F1 : ০১ িডসেম্বর ২০১১: (আমেরিকান নাগরিকদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F2A : ০১ মার্চ ২০১৭: (এলপিআর ব্যক্তিদের স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
FX : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: (F2A কেইসে যাদের অগ্রাধিকার তারিখ পুরোনো)
F2B : ২২ আগস্ট ২০১২: (এলপিআর ব্যক্তিদের অবিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F3 : ২২ নেপ্টেম্বর ২০০৬: (মার্কিন নাগরিকদের বিবাহিত ছেলে/মেয়েদের জন্য)
F4 : ০১ জানুয়ারি ২০০৬: (মার্কিন নাগরিকদের ভাই/বোন ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)
E3 : চলতি (দক্ষ কর্মী ও তাদের স্ত্রী/স্বামী এবং ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য)