বিশ্ব সংবাদপত্রে স্বাধীনতা যুদ্ধ
(৩য় পর্ব)
২৫ মার্চ রাত্রি। পশ্চিম পাকিস্তানি সেনারা পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনসাধারণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সারা বিশ্বের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হলো। সেই সময় পুরো পৃথিবীর দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশের দিকে। সবাই জানতেন, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সেনা আক্রমণ শুরু হলে অনেক সাংবাদিক সীমিত উপায়ে তাদের পত্রিকার জন্য সংবাদ পাঠান এবং এই সংবাদগুলো ছাপা হয় ২৭ মার্চ সংখ্যায়।
লন্ডনের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ ২৭ মার্চ একটি সম্পাদকীয় ছাপে, যার শিরোনাম ছিল, ‘পাকিস্তানের গৃহ যুদ্ধ’ [Pakistan’s civil war]।
এতে বলা হয়, এত দিন ধরে যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল—অবশেষে গভীরভাবে বিভক্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুটি মুসলিম জাতির মধ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দিল। গতকাল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকা ত্যাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের সমর্থকদের মধ্যে বৃহদাকারে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে শুধু এক হাজার মাইলে দূরত্বই নয়, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতেও এরা বিভক্ত। যদিও পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ পূর্ব পাকিস্তানের এবং এরাই প্রধান উৎপাদনকারী, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি আমলা, সেনা ও ব্যবসায়ীরাই পাকিস্তানে সব নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্যবসা-বাণিজ্যে, বৈদেশিক সাহায্যে অসাম্য পূর্ব-পাকিস্তানের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আরও দরিদ্র করে তোলে, এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য শেখ মুজিব ভিন্ন কর পদ্ধতি ও বৈদেশিক বাণিজ্য দাবি করেন। এই আশা আরও বৃদ্ধি পায় যখন ডিসেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মুক্ত নির্বাচনে তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। পূর্ব পাকিস্তান ভেবেছিল, অবশেষে তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে এবং তাদের প্রতি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ বন্ধ হবে। কিন্তু জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিলের পর থেকেই মানুষের আশা ভঙ্গ হতে থাকে। এই জাতীয় সংসদে একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়নের কাজ করার কথা ছিল, তার আশাও শেষ হয়ে যেতে থাকে।
এ ছাড়া লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ একই দিনে অর্থাৎ ২৭ মার্চ আরও দুইটি সংবাদ ছাপে। সদ্য করাচি থেকে ফেরা সাংবাদিক কেনিথ ক্লার্কের একটি প্রতিবেদন। শিরোনাম ছিল ‘জিন্নার পাকিস্তানের ঐক্যের স্বপ্ন রক্তে অদৃশ্য হচ্ছে’ [Jinnah’s dream of unity dissolves in blood]। প্রতিবেদনটিতে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হয়, শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ভুট্টো কেমন করে বাধা দিচ্ছিলেন এবং কেন আলোচনা ভেঙে গেল।
ভুট্টোকে দোষারোপ: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ১২ দিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকা গেয়েছিলেন। ভুট্টো অবশেষে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাজি হন। ভুট্টোর জাতীয় সংসদ বর্জনের সিদ্ধান্তের কারণে সংকটের সৃষ্টি।
প্রেসিডেন্টের সীমাবদ্ধতা: এই সাংবাদিক করাচিতে জানতে পারেন, ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সব জেনারেল এক মত নন। ইয়াহিয়া সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করছিলেন। হয়তো এ কারণেই তিনি বাংলাদেশে এ রকম একটা সেনা আক্রমণের পথ বেছে নিলেন।
২৭ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফে নয়াদিল্লি থেকে পাঠানো ডেভিড লসাকের সংবাদের শিরোনাম ছিল এরকম: ‘পূর্ব পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধের অগ্নিতরঙ্গ, ...শেখ একজন বিশ্বাসঘাতক, প্রেসিডেন্টের বক্তব্য’ [Civil war flares in E. Pakistan—Sheikh ‘a traitor,’ says President]
সংক্ষেপে সংবাদটি হলো—নয়াদিল্লি থেকে ডেভিড লোসাক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন-গতকাল পূর্ব পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ দেখা দিয়েছে। প্রদেশজুড়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
গত রাতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী নেতা শেখ মুজিবের ভাগ্য অনিশ্চিত। বাঙালিদের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনী নামানো হয়েছে। অসমর্থিত খবরে জানা যায়, শেখ মুজিব ও তার বিশ্বস্ত পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকাসহ সব বড় শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং সরকারি বাহিনী ঢাকা রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকে সংঘর্ষ এবং চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গতকাল পাকিস্তান থেকে প্রচারিত এক খবরে শেখ মুজিবকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি পাকিস্তান ভাঙতে চেয়েছেন।
শেখ মুজিবের অনুগত বাহিনীর আক্রমণে সরকারি বাহিনী পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয় এবং তারা রেডিও পাকিস্তানের চট্টগ্রাম স্টেশন দখল করে। গতরাতে গুপ্ত স্থান থেকে প্রচারিত বেতার ‘দ্য ভয়েস অফ বাংলাদেশ’ (ফ্রি বাংলা) দাবি করে, শেখ মুজিব প্রদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
মনে করা হচ্ছে, রেডিওটি উত্তরাঞ্চলের কোথাও অবস্থিত যারা দাবি করছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও পুলিশ বাহিনী চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট যশোর, বরিশাল এবং খুলনায় পাকিস্তানি বাহিনীকে ঘিরে রেখেছে। পূর্ব পাকিস্তানের সব বাহিনী শেখ মুজিবের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ইতিপূর্বে শেখ মুজিব এই বলে একটি বার্তা প্রচার করেন, সামরিক আইনের অধীনে গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলের ঘাঁটি এবং ঢাকা পুলিশ স্টেশনে হঠাৎ আক্রমণ চালায়। অনেককে হত্যা করে। রাইফেলসের ঘাঁটি রাজারবাগে অবস্থিত।
শেখ মুজিব আরও বলেন, ‘মানুষ স্বাধীনতার জন্য বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। আল্লাহ তোমাদের মঙ্গল করুন স্বাধীনতা সংগ্রামে তোমাদের সহায়তা করুন।’
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা সাইমন ড্রিংসহ বিদেশি সংবাদদাতাদের হোটেল থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। পশ্চিম পাকিস্তানেও হিংস্রতার খবর পাওয়া যায়। ভুট্টো সমর্থকেরা লাহোরের কাছে লায়ালপুরে বাঙালিদের দোকান ও বাড়িতে আক্রমণ চালায়। লুটপাট ও আগুনের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়।
ওপরের সংবাদটি থেকে ‘শেখ মুজিব যে কোনো একটি ওয়ালেসে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন’ তার সমর্থন পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ পত্রিকাতে ২৭ মার্চ ঢাকার অবস্থা নিয়ে সংবাদ ছাপে। যার শিরোনাম ছিল, ‘ঢাকা পাকিস্তান থেকে ভেঙে বেরিয়ে গেছে’ [Dhaka breaks with Pakistan]
এই সংবাদেও শেখ মুজিব কর্তৃক পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণার ওয়ারলেস বার্তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা কলকাতায় মনিটর করা হয়। যারা বার্তাটি মনিটর করেছে, তারা বলছে ওয়ারলেস বার্তাটির উৎসস্থল বন্দর শহর চট্টগ্রাম অথবা চালনা। বার্তাটিতে শেখ মুজিবকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান বাহিনী ২৬ মার্চ শূন্য ঘণ্টায় পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ঘাঁটি পিলখানা এবং রাজারবাগ আক্রমণ করেছে এবং বহু নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে।’ ঢাকায় ইপিআর ও পুলিশের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধ চলছে। মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সর্বস্তরের মানুষকে সর্ব শক্তি দিয়ে যেকোনো মূল্যে সর্বত্র শত্রুকে মোকাবিলা করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের সহায় হোন এবং শত্রুর কাছ থেকে স্বাধীনতা আনতে সাহায্য করুন।
সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সংবাদদাতা সাইমন ড্রিঙের ২৮ মার্চ ঢাকা থেকে পাঠানো একটি সংবাদ ছাপে। ড্রিং অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে ঢাকা থেকে বহিষ্কার হওয়ার আগে এই সংবাদটি পাঠান। এর শিরোনাম ছিল, ‘সারা রাত গোলাবর্ষণ শেষে সেনারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে’ [Army take over after night of shelling]
সাইমন ড্রিং তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, শুক্রবার সারা রাত যত্রতত্র গোলাবর্ষণের পর ইয়াহিয়ার বাহিনী সাময়িকভাবে হলেও বড় শহরগুলোর দখল নেয়। সকালেও অনেক দালানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দিনেও গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে। সেনাবোঝাই লরিগুলিকে চলতে দেখা যায়।
হতাহতে সংখ্যা সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরি এলাকা থেকে গেরিলা শব্দ পাওয়া যায়। সাংবাদিকদের হোটেল থেকে বের না হতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং কেউ ভবন থেকে বের হলে গুলি করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। ঢাকা রেডিও থেকে পূর্বাঞ্চলের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খানের নানা আদেশ ইংরেজি, বাংলা এবং উর্দুতে প্রচার করা হয়। কঠোর সেন্সরশিপের আদেশ জারি করা হয়।
কঠোর সেন্সরশিপ: জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার কারণে সেন্সরশিপের কথা বলা হয়। নতুন সামরিক আইনের নানা ধারা জারি করা হয়। কোনো অস্ত্র ও লাঠি বহন নিষিদ্ধ করা হয়। পাকিস্তান রেডিওতে বলা হয়, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতকে ডেকে পাকিস্তানের ঘটনা সম্পর্কে ভারতীয় পার্লামেন্টে আলোচনার প্রতিবাদ জানানো হয় এবং এর খারাপ পরিণতির জন্য হুঁশিয়ার করা হয়।
সানডে টেলিগ্রাফ ২৮ মার্চ ঢাকার অবস্থা নিয়ে একটি সম্পাদকীয় ছাপে, যার শিরোনাম ছিল ‘দ্য ভিকটিম’ অথবা বলি [The Victims]। সংক্ষেপে এই সম্পাদকীয়তে যা বলা হয়েছে তা হলো—
পশ্চিমা দুনিয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধের ভয়ংকর অবস্থা উপলব্ধি করা খুবই দুরূহ। বায়াফ্রার মতো (Biafra) এমনকি ভিয়েতনামের মতো একই রকম বেদনাদায়ক দৃশ্যকাব্য এবং একই সময় দূরবর্তী অবস্থানের কারণে পশ্চিমের জন্য তা হৃদয়ঙ্গম করা একই রকম দুরূহ। মনে হয়, বিশ শতকের শেষভাগে আবারও ক্রোধোম্মত্ততা পতিত হলো দরিদ্র এবং অরক্ষিত জনতার ওপর। প্রতীয়মান হচ্ছে, বিবাদের প্রথম ঘণ্টাতেই হাজারেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছে। যখন সেনারা তাদের পূর্ণ শক্তি নিয়ে শত্রুভাবাপন্ন জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন অন্য কিছু প্রত্যাশা করা যায় না। ১৯৪৭ সালের পর থেকে যে দেশটি চলছিল নানারকম রাজনৈতিক ভেলকিবাজি ও ধূর্ততা দিয়ে, এখন তা ব্যাপক হত্যা লীলার মধ্য দিয়ে দিয়ে ভাঙতে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে এই প্রদেশের ওপর দিয়ে ঘটে গেছে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মাত্র কিছুকাল আগে অভূতপূর্ব বন্যায় পূর্ব-পাকিস্তান বিধ্বস্ত হয়েছে, একই সঙ্গে প্রাণ গেছে অনেকের। এখন চলছে নিষ্ঠুর যুদ্ধ। হয়তো বর্তমান দুর্বিপাকের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে একটি কার্যকর রাজনৈতিক অবয়বের জন্ম নিবে। যাই ঘটুক না কেন, সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান এখন মৃত। শাসকেরা অস্ত্রের সাহায্যে তা অগ্রাহ্য করতে চাচ্ছে, কিন্তু এই প্রয়াস দুঃখজনক মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
পরম ঘৃণা উপশমের জন্য এই দেশ (ব্রিটেন) সামান্যই করতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের দায়িত্ব হবে, লাখ লাখ ভুক্তভোগীর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা। আমাদের পৃথিবীর অবশিষ্টদের জন্য আমরা নম্রভাবে কৃতজ্ঞতা অনুভব করতে পারি এই জন্য যে, এই অংশে আণবিক অচলাবস্থার মধ্যেও শান্তি বিরাজ করছে।
ওপরের সম্পাদকীয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পশ্চিমের গণমাধ্যম আমাদের প্রতি সংবেদনশীল ছিল। আর তাই তারা আমাদের সমর্থনে একাধিক সম্পাদকীয় লিখেছে। উল্লেখ করা যায়, সম্পাদকীয়টিতে বলা হয়েছে, ‘যাই ঘটুক না কেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান এখন মৃত। শাসকেরা অস্ত্রের সাহায্যে তা অগ্রাহ্য করতে চাচ্ছে, কিন্তু এই প্রয়াস দুঃখজনক মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না’— যা পরবর্তীতে সত্যে প্রমাণিত হয়েছে। (চলবে)
লেখক: কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি হলিসের ম্যানেজার
ইমেইল: [email protected]