মৃত্যু নানা রকমেরই হয়ে থাকে, কোনো কোনো মৃত্যু হয় পরম সম্মানের, আজীবন মনে দাগ কাটে সে মৃত্যু এবং সে দাগ কখনো মুছে যায় না। যেহীন চাচার মৃত্যুটাও আমার কাছে সেরকমই একটি ঘটনা।
গত ২৮শে অক্টোবর যেহীন আহমেদ চাচার মৃত্যু সংবাদ শুনলাম। অনেক মানুষ নীরবে মানবসেবা, সমাজসেবা করে যান, তাঁরা নীরবেই নিজের কাজটি করে যাচ্ছেন। ফলে দেশের মানুষ সে সমস্ত নিঃস্বার্থ মানুষদের নামটি পর্যন্ত জানে না। যেহীন আহমেদ হলেন সেরকমই একজন ব্যক্তিত্ব।
পারিবারিক সম্পর্কে তিনি আমার আব্বা ও আম্মা দুদিকেরই ছিলেন আত্মীয়। সম্পর্কে আব্বার খালাতো ভাই ছিলেন বলে চাচা বলেই সম্বোধন করতাম। যেহীন আহমেদ ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের বিখ্যাত এনজিও এফআইভিডিভি (ফ্রেন্ডস ইন ভিলেইজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ)এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। সর্বোপরি বাংলাদেশের এনজিও কার্যক্রমের একজন অন্যতম অগ্রদূত।
যেহীন আহমেদের জন্ম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সুনাইতা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর নানার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ ফুলবাড়ী গ্রামে। যেহীন চাচার পিতা নজমুল হোসেন চৌধূরী সেই ব্রিটিশ–ভারতের যুগে আসাম প্রদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (ডিপিআই) ছিলেন। তাঁর চাচা খান সাহেব মোদাব্বির হোসেন চৌধূরী ছিলেন ‘৪৭ পূর্ব আসাম প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং আসামের প্রথম মূখ্যমন্ত্রী স্যার সৈয়দ সাদুল্লাহর মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি ইন্দোনেশিয়াতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করছি, আমার দাদা খান বাহাদুর গোলাম মোস্তাফা চৌধূরী ১৯২৬ সাল থেকে পর পর তিনবার তদানীন্তন সমগ্র আসাম প্রদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দিল্লীতে অবস্থিত ব্রিটিশ–ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদের (কাউন্সিল অব স্টেট) সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পরবর্তী সময়ে আসাম প্রাদেশিক পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে হিসেবে আত্মীয়তার বন্ধন ছাড়াও দুজনের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল বলেই জানি।
তিন ভাইয়ের মধ্যে যেহীন চাচা ছিলেন সবার ছোট। একটি ব্যতিক্রমী বিষয় হলো তাঁদের তিন ভাইয়ের সবাই ছিলেন অকৃতদার অর্থাৎ চিরকুমার।
সিলেট শহরে তাঁদের বাসা হলো মীরের ময়দান এলাকায় এবং আমাদের দরগা গেটের বাসা থেকে খুব কাছেই। ঈদের দিনে তাঁদের বাসাতে সালাম করতে যাওয়াটা আমাদের জন্য বলা যায় একটা রেওয়াজ ছিল। দাদির (যেহীন চাচাদের আম্মা) ইন্তেকালের পর তাঁদের বাসাটা হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি নারীবিহীন। এবং বলাবাহুল্য অন্যান্য বাসাগুলো থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী ছিল সে বাসাটির পরিবেশ।
যেহীন চাচার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মরহুম অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধূরী ছিলেন সিলেট আইন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। মোস্তাক চাচা কখনো ওকালতি প্র্যাকটিস না করলেও অনেক বিজ্ঞজনকে বলতে শুনেছি যে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ছিলেন একজন সুপন্ডিত ব্যক্তি, বিশেষ করে আইন শাস্ত্রের ওপর তাঁর ছিল অগাধ জ্ঞান। স্পষ্ট মনে আছে, একবার মোস্তাক চাচা আমার পড়াশোনার খোঁজ নিতে গিয়ে আমাকে বলেছিলেন, ‘লেখাপড়া করার মূল উদ্দেশ্য হতে হবে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন এবং রেজাল্ট সেখানে মুখ্য বিষয় নয়।’ আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম যখন একবার শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতার একটি অধ্যায়ে হুবহু সে কথারই মিল খুঁজে পেয়েছিলাম, যা হলো নিম্নরূপ-
‘হে সখা অর্জুন, কর্মফলের কথা চিন্তা করিয়া কর্ম করিওনা; ভগবানের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আপন মনে কর্ম করিয়া যাও। তুমার কর্মের ফল তুমি যথাসময়েই প্রাপ্ত হইবে।’ (শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতা, কর্মযোগ, তৃতীয় অধ্যায়)।
আমি তখন ক্লাস এইটের ছাত্র; তখন আমাদের বাসাতে বেশ বড় মাঠ ছিল যেখানে আমরা বিভিন্নরকম খেলাধুলা করতাম। শীতের সময় রাতের বেলা ব্যাডমিন্টন খেলা হতো; যেহীন চাচাও মাঝেমধ্যে খেলতে আসতেন। কখনো কখনো বড় খেলোয়াড়দের কমতি হলে আমিও বড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতাম। যেহেতু তখন আমার বালক বয়স, তাই উনাকে কেমন জানি খুব ভয় ভয় লাগতো; কারণটা ছিল তিনি এত বড় এনজিও প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর! কিন্তু খেয়াল করলাম তিনি খুবই অমায়িক, সাদাসিধে আর প্রিয়ভাষী একজন মানুষ। আমার সঙ্গে পড়াশোনার কথা, কি অ্যাম্বিশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। আরেকটি ঘটনার কথা মনে আছে; প্রায় আটাশ বছর আগের কথা। তখন আমি এমসি কলেজের ছাত্র। একদিন প্রচণ্ড গরমের সময় আমরা কয়েক বন্ধু কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এমন সময় দেখলাম একটা পাজেরো জিপ গেটের কাছাকাছি ব্রেক কষে দাঁড়াল এবং গাড়ি থেকে তিনি হাতের ঈশারায় আমাকে ডাকছেন; কাছে যাওয়ার পর জানতে চাইলেন বাসায় যাব কিনা; হ্যাঁ সূচক উত্তর পেয়ে আমাকে আর আমার বন্ধুদেরকে গাড়িতে উঠতে বললেন। পথে যেতে যেতে সবার পড়াশোনার বিষয় নিয়ে অনেক কথা বললেন।
১৯৭৯ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে উনচল্লিশ বছর আগে এফআইভিডিভির যাত্রা শুরু হয়। যত দূর জানি আইভিএস (ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টারি সার্ভিস) নামের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সঙ্গে তিনি প্রথমে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি ছিলেন এফআইভিডিভির প্রতিষ্ঠাতা। সেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ, বিশেষ করে নারীসমাজের উন্নয়ন। শুনেছি সে সময় তাঁর তরুণ বয়সে তিনি উন্নতমানের বীজ, চারা, সার ইত্যাদি নিজ হাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেন। তাঁর হাতেগড়া সে প্রতিষ্ঠান আজ এক মহীরূহে পরিণত হয়েছে। সে প্রতিষ্ঠানে আজ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর কর্মপরিধি আজ বৃহত্তর সিলেটের অনেক জায়গায় বিস্তৃত। এ সংস্থাটি আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিত। এফআইভিডিবি বিগত তিন দশক ধরে সিলেট বিভাগের প্রান্তীয় জনপদগুলোতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে এতদঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে সংস্থাটি পেয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সংস্থাটির কার্যক্রম বাস্তবায়নগত দক্ষতা ও স্বচ্ছতা আদায় করে নিয়েছে তৃণমূল স্তরের মানুষের আস্থা। এফআইভিডিভির নানামুখী কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Functional Literacy বা কার্যকরী সাক্ষরতা। এ বিষয়ে যেহীন চাচা ইংরেজিতে বিস্তারিত একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন যার কিছু অংশ উদ্ধৃত করলাম-
“In 1982 FIVDB first presented its functional literacy materials at a seminar organized by ADAB (Association of Development Agencies in Bangladesh). Although the functional literacy materials developed were for the use in Sylhet in FIVDB programme, a few development agencies started showing their interest in the materials. First two such organisations which requested to use the materials were Shapla Neer and Unnayan Sangha Jamalpur.
In the late 80s, the number of user organisations and programmes grew. The leading user organisations included CARITAS, NIRDP-DANIDA, MCC, Shapla Neer, Gono Unnayan Prochesta, World Vision, CRWRC, Food for the Hungry, PROSHIKA etc. In 1991 OXFAM-India Trust invited FIVDB to help adapt the materials in Hindi for use in Bihar and Orissa. In 1996 ADRA received technical assistance in adapting the materials in Arabic for use in Yemen.”
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিলেটের আরেক কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. জিয়াউদ্দীন আহমদের একটি উদ্ধৃতি প্রণিধানযোগ্য। উল্লেখ্য যে ডা. জিয়াউদ্দীন আহমদের পিতা শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন এবং তাঁর মাতা অধ্যাপক হোসনে আরা আহমদ ছিলেন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের প্রথম দিকের প্রিন্সিপাল। তিনি নিঃসন্দেহে ছিলেন সিলেটের নারীশিক্ষার উন্নয়নের একজন অন্যতম অগ্রদূত। ডা. জিয়াউদ্দীন আহমদ বলেন-
“শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের উদ্ভাবিত ‘ফাংশনাল লিটারেসি’ কর্মসূচি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসা পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৩০০টি সংস্থা এটি ব্যবহার করছে এবং ২১ লাখ মানুষ এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। ভারতের বিহার ও উড়িষায় ১৯৯২ সাল থেকে এবং সম্প্রতি ইয়ামেনে তা পড়ানো হচ্ছে। ইদানীং শহরের বস্তিতেও এটি চালুর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় নিজের জীবন, পরিবেশ, সমাজ, পেশা, কর্মপদ্ধতি, স্থানীয় বিপর্যয়—তাবৎ দৈনন্দিন জীবনের ওপর আলোকপাত ও তার সমাধানের পথ উদ্ভাবনের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে নারীদের যোগ্য অধিকার, পুষ্টি জ্ঞান, বর্জ্য ও স্যানিটেশন প্রণালি উন্নয়ন এবং অন্যান্য সময়োপযোগী বিষয়ের উন্নতির ওপর আলোচনা হয়।
এফআইভিডিবি এই নতুন পদ্ধতির নন-ফরমাল শিক্ষা পদ্ধতির জন্য বহুবার আন্তর্জাতিক সম্মান লাভ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় শিক্ষা পুরস্কার ১৯৯৬, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯, এশিয়ান কালচারাল ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাডাল্ট এডুকেশন থেকে রবি কিড অ্যাওয়ার্ড।”
এফআইভিডিভি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন এনজিও এবং সে হিসেবে নিঃসন্দেহে যেহীন আহমেদ বাংলাদেশের সামগ্রিক এনজিও কার্যক্রমের একজন অন্যতম অগ্রদূত এবং শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। এনজিও কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিবেশ আন্দোলনেও তিনি ছিলেন একজন সোচ্চার কণ্ঠ। এসবের পাশাপাশি লেখালেখিতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বাংলা ও ইংরেজিতে তিনি কয়েকটি প্রবন্ধও রচনা করেছেন।
কানাডাতে সেই প্রথমবার আসার আগে যেহীন চাচাদের বাসায় সালাম করতে গিয়েছিলাম। তিনি খুব খুশি হয়ে বলেছিলেন, “কানাডার মতো বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছ; চেষ্টা করবে সেখানে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা নিজ দেশে এসে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে।”
উপলব্ধি করতে পারি, নিজ দেশের প্রতি কতটুকু অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ থেকেই তিনি ওই কথাগুলো বলেছিলেন। তাঁর সেই উপদেশবাণীর কথা মনে হলে নিজেকে মনে হয় অসম্ভব স্বার্থপরদের একজন।
১৯৯৫ সালে তিনি দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হন; তা ছাড়া ডায়াবেটিসসহ আরও অন্যান্য জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও শেষ সময় পর্যন্ত তাঁর দায়িত্বে ছিলেন সদা নিবেদিতপ্রাণ।
যেহীন চাচার মতো নিঃস্বার্থ মানুষটি আজীবন মানবসেবা করে নীরবে-নিভৃতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজকালকার চাকচিক্য আর জৌলুশের ছড়াছড়িতে তাঁদের মতো পরোপকারী মানুষদের কথা কজনই বা জানে। কিন্তু তাঁর হাতে গড়া বিশাল সংস্থাটির অবিরাম কর্মযজ্ঞই নীরবে তাঁর কথা বলে যাবে। কবিগুরুর ভাষায়-
“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই —
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই”
যেহীন চাচাদের মতো নিঃস্বার্থ, পরোপকারী, নম্র, ভদ্র, নিরহংকার, সদালাপী, বিনয়ী আর অগাধ জ্ঞানী ব্যক্তি যেকোনো দেশে এবং যেকোনো সমাজেই অতি বিরল। জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে যেহীন চাচাও এ নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে; তিনি আজ চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন দরগাহে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার প্রাঙ্গণে। লেখাটি শেষ করব মুসলিম দর্শনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জালালউদ্দীন রুমির একটি উক্তি দিয়ে-
“Death has nothing to do with going away.
The sun sets.
The moon sets.
But they are not gone.”
যেহীন চাচাও তাঁর রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমেই থাকবেন চিরভাস্বর।
লেখক: প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব টরন্টো, কানাডা