টাইফয়েড প্রতিরোধে ৩ পরামর্শ

টাইফয়েড রোগ পানিবাহিত। সালমনেলা টাইফি ও প্যারাটাইফি জীবাণু থেকে টাইফয়েড রোগ হয়ে থাকে। টাইফয়েড প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা করলে এর গুরুতর জটিলতা এড়ানো যায়। দূষিত খাদ্য, পানি এবং দুধের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের খাদ্যনালিতে প্রবেশ করে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এবং পানির মাধ্যমেও এই রোগের জীবাণু ছড়ায়।
লক্ষণ
টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। শুরুর দিকে চাপা অস্বস্তি, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, শরীরময় ব্যথা ইত্যাদি অনুভূত হয়। সাধারণত জ্বর একটু বাড়ে। ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে। কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে। পেটের ওপরের দিকে বা পিঠে লালচে দাগ হতে পারে। রোগী প্রলাপ বকতে পারে, এমনকি অচেতনও হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।
জটিলতা
পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ, অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ, মেরুদণ্ডে সংক্রমণ, মস্তিষ্কে প্রদাহ, পিত্তথলিতে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া, স্নায়বিক সমস্যা এমনকি কিডনিতেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ও সুষম উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন খাবার খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে শিরার মাধ্যমে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিরোধ
১. সব সময় পরিষ্কার পোশাক পরা, নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। ঘরের জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে রাখতে হবে।
২. পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। খাবার গরম করে খেতে হবে। বাইরের খাবার খেলে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অপরিষ্কার শাকসবজি ও কাঁচা-ফলমূল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন টয়লেটে ময়লা বা পানি জমে না থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে খোলামেলা ও পরিষ্কার বাসায় রাখতে হবে। ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।