পাঠকের কাছে নকশা
নকশা এনে দিয়েছে সম্মান
প্রথম আলোর প্রথম সংখ্যা থেকেই সঙ্গে আছি। এর প্রতিটি পাতা আমার যেমন প্রিয়, তেমনি পরিবারের সবার কাছেও প্রিয়। সে কারণে সকালে কে কোন পাতা আগে পড়বে, তা নিয়ে শুরু হয় হইচই। কিন্তু মঙ্গলবারের নকশা আমি কিছুতে হাতছাড়া করতে চাই না। কখনো কখনো পত্রিকার শিরোনামগুলোতে চোখ না বুলিয়েই নকশা নিয়ে বসে যাই।
নকশার প্রতিটি বিষয়ই শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। কিন্তু এর মধ্যে আমাকে সবচেয়ে বেশি টানে রান্নার রেসিপি। পাশাপাশি এ সম্পর্কে নানা খবর নকশায় পাওয়া যায়। সারা দেশে নকশার লাখ লাখ পাঠক। এর মধ্যে আমিও একজন। নকশার প্রতিটি সংখ্যা অতি যত্নে সংগ্রহের চেষ্টা থাকে।
একজন গৃহিণী হিসেবে আমি সৌভাগ্যবান, নকশার হাত ধরেই ‘প্রথম আলো–তীর সরিষা ইলিশ প্রতিযোগিতা–২০১৭’–তে দর্শক জরিপে প্রথম স্থান অর্জন করি। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হই। নকশা থেকে খবর পেয়েই এসিআই ভর্তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে হই ১৪তম । ‘সেরা রন্ধন শিল্পী–২০১৮’–তে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত যেতে সক্ষম হই। ডিপ্লোমা গুড়া দুধ মিষ্টির লড়াইয়ে অংশ নিয়ে সেখানে ডাক পাই।
নকশার অনুপ্রেরণা নিয়েই আমি গালর্স গাইডে রান্নার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। পরে সেখানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দলগতভাবে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করি। নকশা থেকে এমন অনুপ্রেরণা পেয়েই নিজের একটি রেস্তোরাঁ খোলার ইচ্ছে হয়েছে। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মিলমিশ হচ্ছে না। তবে হাল ছাড়িনি।
শাহানারা ইসলাম
শাহীনবাগ, পুরাতন বিমানবন্দর
তেঁজগাও ঢাকা।
নকশা আমার মায়ের আনন্দ
২১ বছর পূর্তিতে প্রথম আলোর মঙ্গলবারের ক্রোড়পত্র নকশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন। ২০০৩ সাল থেকে নকশার সঙ্গে আমার আম্মার গভীর সখ্য। আমার গৃহিণী আম্মা হোসনে আরা বেগমের অবসর বিনোদনের একমাত্র সঙ্গী বলা চলে নকশা। ৭৭ বছর বয়সী আম্মা গভীর যত্নে নকশা সংরক্ষণ করে চলেছেন। প্রথম দিকে তিনি নকশার ভ্রমণসংক্রান্ত বর্ণনাগুলোর পাঠক হলেও এখন রান্নাবান্নার একনিষ্ঠ ভক্ত। একটা সময় আম্মা ভ্রমণের লেখা পড়ে আমাকে ওই সব জায়গায় বেড়াতে যেতে উৎসাহিত করতেন। কিন্তু বেড়ানো মানে কদিন আম্মার কাছে থেকে দূরে থাকা, তাই মাতৃত্বের ভালোবাসা আর একা থাকার সাময়িক ভীতি তাঁকে ভ্রমণ থেকে রান্নার পাতার অনুসারী করে তোলে।
আম্মা অনেক মমতায় নকশার পাতাগুলো নিজ ঘরের টেবিলে, ড্রয়ারে, বিছানার তোশকের নিচে গুছিয়ে রাখেন। ২০১৫ সালে আম্মা কিছুটা অসুস্থ হলে এবং বাসায় আম্মার শিশু নাতনির আগমন ঘটলে ছোট বোন তাঁর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁকে না জানিয়ে সব নকশা ফেলে দেয়। পরে এটা জানতে পেরে আম্মা খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি এ দুঃখ ভুলতে পারেননি। তবে পুরোনো অভ্যাসমতো আম্মা নতুন করে আবার শুরু করেছেন। বিছানার তোশকের নিচে জায়গা করে নিচ্ছে নকশা।
পূজা উপলক্ষে ৮ অক্টোবর নকশার রান্না দেখে রাতেই ফোন করে আম্মা জিজ্ঞাসা করেন, রান্নার পাতাটা আমি দেখেছি কি না। দেরি না করে ওই রাতেই নকশার একটা রেসিপি অনুসরণ করে তাঁর জন্য দুধের ক্ষীরসা দিয়ে তৈরি করি সন্দেশ, যদিও আকৃতি দিতে ব্যর্থ হই। আম্মা খুশি হয়েছিলেন। তবে বলেছিলেন কী দরকার ছিল এত কষ্ট করার; কিন্তু আমি জানি, এর পেছনে কতখানি আনন্দ ও তৃপ্তি লুকিয়ে ছিল।
কিছুটা হলেও নকশার প্রতি আম্মার এই অগাধ ভালোবাসা আমাকেও প্রভাবিত করেছে। ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বেশ কিছু নকশা আমার ফাইলেও আছে যত্নে। যখন ওগুলো বের করে পড়ি, আমার ছেলেরা হাসে আর বলে, ‘ডিজিটাল যুগ সব থাকবে তোমার মোবাইলে আর ল্যাপটপে, এগুলো রাখার মানে হয় না।’ আমি ভাবি, ডিজিটাল সন্তানেরা কী করে বুঝবে শারীরিক নকশার উপস্থিতি কতটা মধুর, কত আনন্দদায়ক।
ড. দিলশাদ আরা
অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
নকশার কাছে খোলা চিঠি
প্রিয় নকশা,
২১ পেরিয়ে ২২ বছরে পদার্পণের সময় তোমাকে জানাই শিউলি ফুলের শুভেচ্ছা। ২১ বছরে তুমি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছ। তার জন্য আমরা তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি, আগামী দিনেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
তোমার নোটিশ বোর্ড থেকে জানতে পারি কবে কোথায় কোন প্রদর্শনী হবে। সেটা নতুন কোনো পণ্য হোক বা খাবারের দোকান, ছবির প্রদর্শনী, ফ্যাশন হাউস কিংবা বৃক্ষমেলা।
ষড়্ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। কোন ঋতুতে কোন পোশাক, কোন খাবারদাবার চলে—সবই আমরা নকশার পাতায় দেখতে পাই। শিশু থেকে বৃদ্ধ—বয়স অনুযায়ী পোশাক, গয়না, খাবার, কোন ঋতুতে কোনটা বেশি মানানসই বা প্রয়োজনীয়, তার নির্দেশনা থাকে তোমার পাতায় পাতায়। আমাদের রন্ধনবিদেরা সময়োপযোগী রান্নাবান্নার রেসিপি দিয়ে থাকেন। ঈদ, পূজায় বিশেষ রান্না, শীতের পিঠা, গরমের ঠান্ডাই—আরও কত–কী। আরও থাকে আঞ্চলিক খাবারের রেসিপি। এতে নতুন রাঁধুনিরা এবং আমাদের মতো বয়স্ক নারীরাও উপকৃত হন। বিশেষ করে যখন রান্না প্রতিযোগিতার, আচার প্রতিযোগিতার খবর ছাপা হয়, তখন আমরা সেসবে অংশ নিতে পারি। পুরস্কারও পাই।
আগাম খবরটা নকশায় পেয়ে যাই। এ জন্য অনেকেই আমরা নানা দিক থেকে সফল হই।
নকশা শব্দটির মধ্যে অনেকেরই জীবনের অম্লমধুর স্মৃতি আছে। ষাটের দশকে আমি যখন ছোট ছিলাম, মাথার চুলটাকে উঁচু করে বেঁধে ছেড়ে রাখতাম। আমার নানি বলতেন,‘ এ আবার কী রকম চুল বাঁধা, ঘোড়ার লেজের মতো দেখতে।’ আমি বলতাম, ‘এটাকে “হর্সটেল” বলে।’ নানি কপট হেসে বলতেন, ‘কত যে তোদের নকশা।’ আবার স্কুলে পড়ার সময় অঙ্ক ভুল করলে স্যার বলতেন, ‘অঙ্ক ভুল হলো কেন? বাড়িতে কী নকশা করো!’ বিয়ের পর শাড়ি-চুড়ি পরে কপালে টিপ দিয়ে যখন বাইরে যেতাম, বাসার কাজে সহায়তাকারী নারী বলত, ‘ভাবি তো আজকে নকশা করে সেজেছে।’ আর এখন বৃদ্ধ বয়সে অপেক্ষা করি নকশাটা কখন হাতে পাব। নকশার বহুমাত্রিক অবদানের শেষ নেই, নকশা যুগ যুগ ধরে প্রথম আলোর হাত ধরে এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা, এটাই চাওয়া।
নূরজাহান আহমেদ
যশোর।
নকশার রেসিপি কেটে বানিয়েছি বই
নকশার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে ২০০৬ সালে আপুর বাসায়। আপু ২০০৪ সাল থেকে নকশা সংগ্রহ করে। আমি যখনই ঢাকায় বেড়াতে যেতাম, নকশার রেসিপিগুলো বারবার দেখতাম। নকশার প্রতি ভালো লাগা তখন থেকে শুরু। কিছু নকশা ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে এলাম। মন খারাপ হলেই দেখতাম, মন ভালো হয়ে যেত।
২০০৯ সাল থেকে আপুর মতো আমিও নকশা সংগ্রহ করতে শুরু করি। যেহেতু গ্রামে ছিলাম, প্রথম আলো বাজার থেকে কিনে আনতে হতো। এটি আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে একটা ভালো ব্যাপার ছিল, যে ছেলেটি পত্রিকা বিক্রি করত, সে আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে সাইকেলে করে বাজারে যেত। ক্লাস না থাকলে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতাম। নকশা নিয়ে বাড়ি ফিরতাম।
এরপর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঢাকায় আসি। আপু আমাকে তার জমানো সব নকশা উপহার হিসেবে দিয়ে দেয়। নকশায় প্রকাশিত রান্নার রেসিপিগুলো কেটে খাতায় আঠা লাগিয়ে রেসিপির বই বানাই। একটাতে মাংসের পদ, একটায় মাছ ও শাকসবজি। এভাবে শরবত ও মিষ্টান্ন, বিকেলের নাশতা, পিঠাপুলি-পায়েস-সন্দেশের রেসিপি নিয়ে মোট পাঁচটি আলাদা বই বানাই। এখন সাজগোজ ও ত্বকের যত্নের লেখাগুলো কেটে কেটে আরও দুটি বই বানিয়েছি।
নকশা সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে আপু। আমি বাসায় না থাকলে প্রতি মঙ্গলবার আপু আমার জন্য নকশাটা যত্ন করে তুলে রাখে। নকশা না দেখা পর্যন্ত একধরনের অস্থিরতা কাজ করে। এখন বছরের শুরুতে মাসের মঙ্গলবারের তারিখগুলো লিখে রাখি। যে তারিখে নকশা পাই, দাগ দিয়ে রাখি, যেন কোনো নকশা সংগ্রহে বাদ না পড়ে। গত তিন বছরের প্রতিটি নকশা আমার কাছে রয়েছে। নকশা সংগ্রহ করা এখন শখে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু নকশা একই রকম চার–পাঁচটিও আছে। যেখানে নকশা দেখি, চেয়ে নিয়ে আসি। নকশা সংগ্রহ করার পেছনে রয়েছে অনেক মজার মজার ঘটনা, যা লিখে শেষ করা যাবে না।
জান্নাতুল ফেরদৌস
শান্তিপুর, ঢাকা
জমিয়ে রাখি নকশা
প্রতি মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাসায় ফিরে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে নকশার নতুন আয়োজন দেখা। প্রায় এক বছর হলো নকশা জমিয়ে রাখি। পোশাক থেকে শুরু করে খাবারদাবা—সবকিছুই থাকে নকশার আয়োজনে। তবে আমার খাবারের আয়োজন বেশি ভালো লাগে, কারণ আমি ওটাই ভালো পারি। যেহেতু এখানে ভিন্ন রকমের দেশি-বিদেশি, উৎসব-অনুষ্ঠানসহ নানা বিষয়ের ওপর খাবারের আয়োজন করা হয়, তাই এখান থেকে আমি অনেকটা অনুপ্রাণিত হয়েছি।
নকশাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতি সপ্তাহে এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য। আশা করি, আগামী দিনে এর আয়োজন আরও অনেক সুন্দর হবে।
তাসফিয়া রহমান
সপ্তম শ্রেণি, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
নকশা থেকে রান্না শেখা, অতঃপর পুরস্কার জয়
তৃপ্তি রানী একজন গৃহিণী। নকশার ছাপা হওয়া রেসিপিগুলো নিয়মিত পড়েন এবং রান্নাও করেন তিনি।
তৃপ্তি রানী বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে বাড়িতে নিয়মিত প্রথম আলো রাখা হয়। নকশায় দেওয়া বিভিন্ন রেসিপি আমাকে রান্নার জন্য অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। একসময় আমি ভালো রান্না না পারলেও এখন নকশার রেসিপিগুলো দেখে রান্না করা আমার একটি শখের কাজ।’
তৃপ্তি ভিম বাংলাদেশ রান্নার প্রতিযোগিতায় ২০১৯ সােল অংশ নেন। বললেন, ‘এই প্রতিযোগিতায় আমি নকশায় দেওয়া রুই মাছ দিয়ে চিড়ার রেসিপিটি কিছুটা নিজের মতো করে রান্না করি। তার জন্য এই প্রতিযোগিতায় আমি বিজয়ী হই।’
নকশা প্রতিবেদক
আমার মন রাঙানো নকশা
নকশা। শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফুল আর লতাপাতায় ঘেরা মনে দোলা লাগানো একটি মোহনীয় চিত্র। যে নকশায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য আলপনা। তৈরি হয়েছে ভুবনজয়ী পছন্দের সব সামগ্রী। নকশার কথা কি আর জীবন থেকে আলাদা করা যায়?
প্রথম আলো শুরু থেকেই নকশা নামের একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে মূল পত্রিকার সঙ্গে। সে নকশা আমাদের হৃদয়ে গেঁথে গেল তার মোহনীয় রূপ নিয়ে, ভুবন–ভোলানো সব বিষয় দিয়ে। এ বিষয়গুলোই তো আমার কাছে একেকটি ফুল আর পাতা। পুরো নকশাই আমার মনের রঙে আঁকা একটি সম্পূর্ণ আলপনা।
আমি নকশাপ্রেমী। অসংখ্য নকশা ছিল আমার সংগ্রহশালায়। ছিল বলছি এই কারণে যে বাড়ি বদলানোর সময় আমি হারিয়ে ফেলেছি আমার সংগ্রহের সব নকশা। তবে আসলেই কি হারিয়েছি? আমি জোর দিয়েই বলতে পারি, হারায়নি। নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যা যা আমি শিখেছি, যেসব বিষয় আমি হৃদয়ে ধারণ করে আছি। এসব তো হারানোর নয়। শিখেই ক্ষান্ত হইনি, সেসব তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছি সবাইকে। আমি কেমন করে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া শুধু নকশার লেখা পড়ে চমৎকার সব সামগ্রী তৈরি করা শিখলাম।
আমি সবাইকে বলেছি, নকশার প্রতিবেদন এমনই হয়। নকশা একটি সহজপাঠ্য বই। আমার মেয়ে ‘পূর্ণতা’র কান ফোঁড়ানো উৎসব করলাম। ওই উৎসবে হলুদছোঁয়ার একটি পর্ব রেখেছিলাম। যে পর্বে আমি পান–সুপারি দিয়ে তৈরি একটি বার্বিডল সাজিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অনুষ্ঠানের ছবিগুলো নকশায় পাঠাব। যার পুরো কৃতিত্ব কেবল নকশারই প্রাপ্য। কারণ, নকশায় প্রকাশিত ওই পান-সুপারির বার্বিডল দেখেই আমি তৈরি করেছিলাম। ছোট ছোট মুরগিছানা, আনারসের ঠেলাগাড়ি ইত্যাদিসহ আরেও কত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে শিখেছি। নকশা ছাড়া ঘরে বসে এসব আর কোথায় পেতাম তখন?
সংসারজীবনের শুরুতে রান্না করার আত্মবিশ্বাসের জন্য নকশার কাছেই কৃতজ্ঞ। নকশার রূপনকশা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি। যার প্রভাবে নিজেকে যত্নে রাখার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত।
নকশার অনুপ্রেরণা ছাড়া আমি কখনোই নিজের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারতাম না। আজ এ লেখার মাধ্যমে আমি আমার মনের সব অনুভূতি হয়তো ব্যক্ত করতে পারব না, তবু কাজের ব্যস্ততার মধ্যে আমি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য দুকলম লেখার সময় বের করে নিয়েছি—শুধু ‘নকশাকে ভালোবাসি’। এটা বলার জন্যই।
আইরিন সুলতানা
অ্যাডভোকেট, নারায়ণগঞ্জ জজকোর্ট।