বিশ্বনেতাদের স্বরূপ চেনাচ্ছে করোনা
রূপকথার রাজ্যের রাজপুত্র ও কোটালপুত্রের কথা কে না জানে। সংকটকালে যখন রাজপুত্র ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ত, তখন দৃশ্যে হাজির হতো কোটালপুত্র। মেধাবলে নেতৃত্বগুণে সমাধান হাজির করত সে। এরপর তো সেই সুখে-শান্তিতে বসবাসের অতি কাঙ্ক্ষিত সমাপন। বর্তমান এই ক্রান্তিকালেও মানুষ সেই স্বস্তির সমাপ্তির অপেক্ষায় আছে। সংকটের সমাধানে রাজপুত্রের মতো অজস্র নেতার দেখা মিলছে দেশে দেশে। কিন্তু দেখা দিচ্ছে না সেই কাঙ্ক্ষিত কোটালপুত্রই। অবশ্য ব্যবস্থা আগেই তার আগমনের এবং বৃহৎ পরিসরে ভূমিকা রাখার পথটি রুদ্ধ করে রেখেছে। সে অন্য কথা।
কথা হলো, এ তো গণতান্ত্রিক ও উদারবাদী বিশ্বকাঠামো; তবে রাজপুত্র আসছে কী করে? আসছে, আসছে। আসছে কারণ, এই বিশ্বে এই সময়ে ক্ষমতায় বসে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন, সি চিন পিং, রদ্রিগো দুতার্তে, জায়ের বোলসোনারো, নরেন্দ্র মোদিসহ এমন বহু নেতা, যাঁদের আচরণ গল্পের সেই সংকটে ম্রিয়মাণ কিন্তু আত্মম্ভরিতায় সর্বদা জ্বলজ্বলে রাজপুত্রদের কথাই মনে করিয়ে দেয়। না, ভুল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এঁদের কাউকে সোজাসাপ্টা রাজা বা রাজপুত্র বা এমনকিছু বললে অবশ্য বিপদ ঘটতে পারে। কারণ, তাঁরা মসনদটিতে বসেছেন রীতিমতো ভোটাভুটির মাধ্যমেই। যদিও দুর্মুখেরা অনেক কিছু বলতে পারে।
সে যা-ই হোক, মোদ্দা কথায় আসা যাক। করোনাভাইরাসের এই সময় অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এটি নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মতো শব্দগুলোকে নতুন করে চিনতে শেখাচ্ছে মানুষকে। নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং অস্ত্র ও শস্ত্রে সুসজ্জিত থাকা মানেই যে নিরাপদ থাকা নয়, তা বুঝতে শেখাচ্ছে মানুষকে। দ্বিতীয়ত, এটি বিদ্যমান অর্থনীতির গলদটি একেবারে খোলাসা করে দেখিয়ে দিচ্ছে, যেখানে প্রকৃতি থাকে তাবৎ বিবেচনার বাইরে। তৃতীয়ত, সামাজিক নিরাপত্তার নামে দেশে দেশে বিদ্যমান কাঠামোর ভেতরে থাকা ভাঁওতাটি প্রকাশ করে দিচ্ছে। চতুর্থত, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য এবং মহামারিকালে এই বৈষম্যের বাড়বাড়ন্ত এক বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সবাইকে। এই প্রশ্নচিহ্নটিকে অবশ্য শুধু অনুদানের অর্থনীতি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পঞ্চমত, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতার চূড়ান্ত রূপটি প্রকাশ পাচ্ছে রোগের বিস্তারের মধ্য দিয়েই। এমন অজস্র দিকের কথা তুলে ধরা যাবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সম্ভবত হলো এই করোনাকালই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় নামের নেতাদের স্বরূপটি প্রকাশ করে দিচ্ছে।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রকোপের এই দুঃসময়েই এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কোন কোন নেতা এত দিন নামে ও ভারেই শুধু চলছিলেন এবং চলছেন, ধারে নয়। কোন নেতারা নিজের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি চিন্তিত, ক্ষমতার লিপ্সা কার মধ্যে কতটা ঘৃণ্য মাত্রায় রয়েছে, কারা রীতিমতো কমেডি চরিত্রে পরিণত হয়েছেন, তা–ও স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমেই। এই সময়েই বিশ্ব চিনতে পারছে সেসব নেতাকেও, যাঁরা নিজের সবটুকু ক্ষমতা দিয়েই কল্যাণ করতে চান। এমন সু-নেতা ও কু-নেতা দুইয়েরই দেখা মিলছে। এমন মহাসংকট না এলে এত সহজে হয়তো নেতাদের চরিত্র প্রকাশ হতো না সবার সামনে। মানুষ হয়তো কখনো বুঝতেই পারত না যে তারা কেমন নেতাকে তোয়াজ করে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে, কার হাতে তুলে দিয়েছে নিজেদের নিরাপত্তার ভার।
বলা হয়, নেতা দেখে বুঝতে হয় একটি দেশের বা সমাজের মানুষ কেমন। এই বিষয়টি তো তখনই খাটে, যখন নেতা নির্বাচনের ভারটি মানুষের ওপর থাকে। কিন্তু সেই ভারটি যদি ছলে কিংবা বলে মানুষের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়, তবে ওই নেতার দুষ্কর্মের ভার নিশ্চয় জনতার ওপর দেওয়া চলে না। কথাটি বলতে হলো, বর্তমান বিশ্বের কথা মাথায় রেখেই। কারণ, বর্তমানে বহু দেশে এমন এমন লোক শাসক হিসেবে বসে আছেন যে তাঁদের চরিত্র দিয়ে সেই দেশের মানুষকে বিচার করতে যাওয়াটা রীতিমতো অন্যায় হবে। এই যেমন ব্রাজিলের জায়ের বোলসোনারোকে দেখে কোনোভাবেই আমুদে ও শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে ব্রাজিলের পরিচয়টিকে বোঝা যাবে না। উদাহরণ দিতে গেলে অনেক দিতে হবে, এত সুযোগ নেই।
আসল কথায় আসা যাক। করোনাকাল বিশ্বের অনেক নেতার জন্যই সত্যিকারের আকাল হয়ে এসেছে। বিশ্বের অনেক নেতারই এখন আমোদ–আহ্লাদে বসে রাজনীতির নানা প্যাঁচ কষবার কথা, কিংবা বিরোধীপক্ষকে জতুগৃহের দিকে আরেকটু ঠেলে দেওয়ার কথা। করোনাকাল তাদের সব অঙ্ক উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। এই যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই গ্রীষ্মে তাঁর আগামী শীত নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। সামনেই নির্বাচন। আর ট্রাম্প স্বপ্ন দেখছেন পুনর্নির্বাচনের। এ অবস্থায় নিজ দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে দু-একটা বিজয় অর্জন তাঁর জন্য জরুরি ছিল। এ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু এই ব্যস্ততাই এখন কাল হয়েছে। পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, যে মার্কিনদের ‘গ্রেট আমেরিকার’ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই মার্কিন নাগরিকদের রক্ষায় তিনি কিছুই করেননি। বরং নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধের পরামর্শ দিচ্ছেন, যার সর্বশেষটি হচ্ছে, ‘শরীরে জীবাণুনাশক প্রবেশ করান, সুস্থ থাকুন।’
আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি সাফল্য পেতে উদ্গ্রীব ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশকে আন্তর্জাতিক প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় অগুরুত্বপূর্ণ করে তুলছেন ক্রমশ। সর্বশেষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেওয়া বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ না দিয়ে এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগটি হারাল যুক্তরাষ্ট্র। এই করোনাকালেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাস্যকর ও হৃদয়বিদারক আত্মপ্রেমের চরিত্রটি সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে। একই সময়ে আটলান্টিকের ওপারে ট্রাম্পের অনুলিপি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বের সংকটও প্রকাশিত হয়েছে। এই সময়েও জনসনের মূল লক্ষ্য ছিল সংবাদের শিরোনাম হওয়া এবং কোনোভাবে সংকট কেটে যাবে এমন আশায় দিন পার করা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বদলে ভাগ্যে ভীষণ রকম বিশ্বাসী জনসন প্রহর গুনছেন সংকট সমাধানের পর তিনি কীভাবে বিজয় পতাকা নিয়ে ছুটবেন, সে কল্পনায়। এমনকি করোনা-আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরার পরও নিজের অসুস্থতাকালীন ঘটনা পরম্পরা জানাতে তিনি যতটা তৎপর, দেশকে সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ায় ততটা নন। কী দারুণ মিল আটলান্টিকের দুই পারে।
মজার দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে ফ্রান্সেও। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর কার্যকলাপ দেখলে এখন ন্যাপোলিয়ন কিংবা দ্য গলের কথাই মনে পড়বে। তিনি যেভাবে নতুন করোনাভাইরাসের মতো অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তাতে অন্তত তেমনটিই মনে হবে। লকডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ঘোষণার ক্ষেত্রে এবং এসব পদক্ষেপ অমান্য করলে জরিমানাসহ নানা বিধান কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এমনভাবে তিনি নিযুক্ত করছেন যে এখন আর তাঁর মধ্যপন্থী পরিচয়টি সামনে আসবে না। বরং অনেক বেশি ডানপন্থী বলেই মনে হবে তাঁকে, যা ক্রমেই চরমের দিকে যাচ্ছে।
ইউরোপে অনুমিতভাবে বাজে ভূমিকা নিয়েছেন হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবানের মতো কর্তৃত্ববাদী নেতারা। ‘অনুদার গণতন্ত্র’ শব্দবন্ধের এই প্রবক্তা শুরুতেই নিজের সীমানা বন্ধ করতে ভোলেননি। একই সঙ্গে তাঁর দেশে থাকা অন্য ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদের প্রান্তে ঠেলে তিনি ইউরোপীয় ঐক্যের ধারণাটিকেই প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। একইভাবে রাজ্য সরকারগুলোর ত্বরিৎ পদক্ষেপ সত্ত্বেও কেন্দ্র থেকে সমন্বিত উদ্যোগ না নেওয়া এবং শেষে মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণা দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে তাঁর পিঠ কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকারগুলোর তৎপরতা।
এদিকে রাইনের পারে দেখা মিলবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের। জার্মান চ্যান্সেলর সত্যিকারের একজন নেতা হিসেবে লড়ে যাচ্ছেন। এর ফলও পাচ্ছে তাঁর দেশ। অন্যদের মতো তিনিও বক্তৃতা দিচ্ছেন। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষণাসহ নানা দিকের খোঁজও রাখছেন। তাঁর বিজ্ঞানী পরিচয়টিই এ সময় সামনে এসেছে। এর মানে এই নয় যে ভালো নেতা হতে হলে বিজ্ঞানী হতে হবে। বরং ভালো নেতা হতে হলে নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে দক্ষদের পরামর্শ মানতে হয়, যার বড় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো নেতাদের মধ্যে। যে কারণে ট্রাম্প তাঁর মতের সঙ্গে না মেলায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ভ্যাকসিন প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ রিক ব্রাইটকে।
এই করোনাকাল সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত তারকা হিসেবে সামনে এনেছে জিউসেপ কোঁতেকে। ইউরোপের অনেক দেশ যখন ভাইরাসের বিস্তার রোধে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধায় ভুগছিল, তখন ইতালিতে এই পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে নেওয়া ও তা কার্যকরে মুখ্য ভূমিকাটি রাখেন এই কোঁতে। একই সঙ্গে এই পদক্ষেপের সপক্ষে জনমত তৈরিতে জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমে বক্তব্য দেন তিনি। সংকট মোকাবিলায় তিনি জাতীয় সংহতিতেই আস্থা রাখেন। একইভাবে অন্যতম সফল ও অনুসরণীয় নেতা হিসেবে আবারও সামনে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। শুধু সংকট মোকাবিলাই নয়, পুরো দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখা থেকে শুরু করে নিয়মিত তথ্য জানানো প্রতিটি কাজই তিনি করেছেন ও করছেন অত্যন্ত সুচারুভাবে। একই কাতারে দেখা মিলবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের, যিনি শুরু থেকেই নিজে মাঠে থেকে সব তদারকি করেছেন। নিজ দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে নিজেই নেমে গেছেন প্রচারকাজে।
সব মিলিয়ে এই করোনাকাল বিশ্বের দেশে দেশে থাকা বিভিন্ন নেতার সত্যিকারের চরিত্রটিকে বাইরে নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক সংহতির কথা বলা বিশ্বনেতাদের দেখা যাচ্ছে শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে বসে থাকতে। সারা বিশ্বের নেতা হিসেবে দাবি করা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছে তারা। একই অবস্থা রুশদের ক্ষেত্রেও। অস্ত্রের শত শত কৌশল নিয়ে, মারণাস্ত্রের বহর নিয়ে আজকেই নামতে বললে, তারা অনায়াসে কলার উঁচিয়ে নেমে আসবে। কিন্তু এই সময়ে তার দেখা নেই। বরং এই সময়ে দেখা মিলছে কিউবার, বিত্ত বা অস্ত্র কোনো সমীকরণেই যাকে ধর্তব্যে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গন কেন, দেশের ভেতরেও নেতাদের চেনার, জানার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে দুর্যোগ। দূর থেকে নেতাদের দুষ্কর্মের খোঁজ পাওয়া এক কথা, আর দুর্যোগের সময় কু-রূপটি দেখতে পাওয়া আরেক ব্যাপার। এ তো সত্য যে উৎসব-অনুষ্ঠান নয়, বন্ধু চিনতে হয় বিপদে, শ্মশান কিংবা কবরযাত্রায়। আর নেতা? নেতা চিনতে হয় দুর্ভিক্ষ ও রাষ্ট্রবিপ্লবের সময়। এখন রাষ্ট্রবিপ্লবের বা দুর্ভিক্ষের সময় না হলেও মহামারির কাল, যা দুইয়েরই উদ্গাতা। তাই নেতা চেনার এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। একই সঙ্গে মেধা ও উদ্যম নিয়ে যে কোটালপুত্ররা বেরিয়ে এসেছে পথে সবার জন্য কাজ করার লক্ষ্যে, তাদের পথটিকে প্রশস্ত করার মধ্য দিয়ে কু-নেতার পথ সংকোচনেরও সময় এখন।
লেখক: সাংবাদিক