গুয়াইদো ১৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে ১৫ বছরের জন্য সব ধরনের সরকারি কার্যালয় থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গুয়াইদোর ব্যক্তিগত আর্থিক হিসাবে অসংগতি থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানান দেশটির অর্থ নিয়ন্ত্রক এলভিস আমোরোসো।
দেশটির স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। রাজধানী কারাকাসের বিবিসি প্রতিনিধির বরাতে জানা যায়, গুয়াইদো যদি জাতীয় অধিবেশনে তাঁর বর্তমান মেয়াদের পর পুনরায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন, তবে তাঁকে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নিষিদ্ধ করা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াবে। আমোসোর এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গুয়াইদো বলেন, মহানিরীক্ষক মনোনীত করার অধিকার শুধু বৈধ কংগ্রেসের। কাজেই আমোরোসো মোটেও মহানিরীক্ষক নন।
গত সপ্তাহে গুয়াইদোর বাহিনী প্রধান রবার্তো মারেরিওকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের প্রতি 'অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেস্তর রেভেরল জানান, মারেরিওর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ‘অস্ত্র ও বৈদেশিক মুদ্রা’ উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর এই কাজকে ‘অবৈধ এবং অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করেছেন গুয়াইদো। তাঁর ধারণা, মারেরিওর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সামগ্রী কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে এসেছে, এটি সাজানো নাটক।
মারেরিওকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলো তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সিগাল মান্ডেলকার আজ শুক্রবার জানান, ভেনেজুয়েলা সরকারের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ সৃষ্টি করবে যুক্তরাষ্ট্র।