বিরোধী দলে নির্ভর করে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবে যাবেন মে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে এখনই বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) চাইছেন না বেশির ভাগ ব্রিটিশ সাংসদ। গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বিলম্বিত করার পক্ষে ভোট দেন ব্রিটিশ এমপিরা।
ওই ভোটাভুটিতে এখনই ইইউ না ছাড়ার পক্ষে রায় দেন ৪১৩ জন সাংসদ। নির্ধারিত সময়ে ব্রেক্সিট হোক—এমন রায় দিয়েছেন ২০২ জন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সাতজন কেবিনেট সদস্যসহ বেশির ভাগ কনজারভেটিভ সদস্যই সময় নেওয়ার বিপক্ষে ভোট দেন। ১৮৮ জন কনজারভেটিভ সদস্য বিপক্ষে ভোট দেন। যার মানে দাঁড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টিসহ বাকি বিরোধী দলগুলোর ওপর নির্ভর করছেন। ২৩৬ জন লেবার সদস্য বিচ্ছেদে সময় নেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানান, আগামী সপ্তাহে ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে আবারও ভোটাভুটি হবে। সাংসদদের রায়ের ওপর ভিত্তি করে ব্রেক্সিট তিন মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী ৩০ জুন ব্রেক্সিটের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে বলে তিনি জানান। তবে এই প্রস্থানের সময় তিন মাস ছাড়িয়ে গেলে তা গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে না বলেও সতর্ক করেছেন মে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই বিচ্ছেদ যেতে হবে।
তবে ব্রেক্সিট পেছানোর বিষয়ে ইইউর অন্য ২৭ সদস্যকে একমত হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিষয়েও প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুইবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর আগামী বুধবার আবার ব্রেক্সিট চুক্তি উত্থাপন করবেন থেরেসা মে। তিনি যদি ওই ভোটে জেতেন, তবে আগামী বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বর্ধিত সম্প্রসারণের জন্য অনুরোধ জানাবেন তিনি। যদি আবারও প্রত্যাখ্যাত হন, তবে বেশি সময়ের জন্য আবেদন জানাবেন।
গত মঙ্গলবার সমঝোতার ভিত্তিতে ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের উত্থাপিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। পরদিন বুধবার কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও নাকচ করে দেন ব্রিটিশ এমপিরা। এরপর গতকাল ব্রেক্সিট কার্যকর করতে আরও সময় বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয় পার্লামেন্টে। পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা।