চাল, ডাল, সবজি, ফলমূলের মতো খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ব্যবহার্য পণ্য কেনাবেচাতে ওজন করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ওজনের একক কিলোগ্রাম বা কেজির সংজ্ঞা বদলে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এতে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ মানুষের জীবনে এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে না বললেই চলে। আগামী বছরের ২০ মে বিশ্ব ওজন দিবস থেকে কিলোগ্রামের নতুন সংজ্ঞা কার্যকর হবে। প্রায় ১৩০ বছর পর এই পরিবর্তন আনা হলো।
গত শুক্রবার ফ্রান্সের ভার্সাইয়ে ওজন ও পরিমাপবিষয়ক এক সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা কিলোগ্রামের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেন। বর্তমানে প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি একটি সিলিন্ডার আকৃতির সংকর ধাতবের ওজনকে এক কেজি ধরা হয়। ১৮৮৯ সাল থেকে ‘ল্য গ্রঁদ কে’ নামের ওই ধাতব সংকরের ভিত্তিতে পৃথিবীজুড়ে এক কেজির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তড়িৎ–চুম্বক শক্তির মাধ্যমে বস্তু ওঠা-নামা করানো যায়। কাজেই ওজনের সঙ্গে বিদ্যুতের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। কিলোগ্রামের সংজ্ঞা নির্ধারণে বিজ্ঞানীরা প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবকের (এইচ) দ্বারস্থ হয়েছেন। এতে ওজন, দূরত্ব ও সময় পরস্পর সম্পর্কিত। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ব্রায়ান কিবল সুপার অ্যাকুরেট সেট অব স্কেল উদ্ভাবন করে গেছেন। এর মাধ্যমে প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবকের মান অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা সম্ভব।