যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের পদত্যাগী মন্ত্রী
ভারতের সদ্য পদত্যাগী প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগ উত্থাপনকারী পল্লবী গগৈর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এবং ওই সময় যা-ই ঘটেছে, সবই পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে। এনডিটিভি বলছে, এএনআইয়ের কাছে এম জে আকবর এসব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রায় ২০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক পল্লবী গগৈর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এর পরিণতি ভালো ছিল না। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। একই বিষয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন আকবরের স্ত্রী মল্লিকা। এম জে আকবর যে দাবি করেছেন তাতে সমর্থন দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হওয়া এম জে আকবর বলেন, ‘১৯৯৪ সালের কাছাকাছি সময়ে পল্লবী গগৈ ও আমি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম। কয়েক মাস টিকেছিল এটি। এই সম্পর্কের কারণে অনেক কথা রটেছিল এবং আমার ঘরেও অশান্তি শুরু হয়েছিল। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তৈরি এই সম্পর্ক পরে শেষ হয়ে যায়। তবে এটি খুব ভালোভাবে শেষ হয়নি।’
এম জে আকবর আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা আমাদের দুজনকেই চিনতেন। এই বিষয়ে তাঁরা সবাই সাক্ষ্য দিতে খুশি মনেই রাজি হবেন। পল্লবী গগৈ ওই সময় কোনো হুমকির মুখে ছিলেন না।’ তাঁর দাবি, যৌন হয়রানির অভিযোগটি মিথ্যা এবং এ বিষয়ে মুখ খোলার সময় এসেছে।
এম জে আকবরের স্ত্রী মল্লিকা আকবর স্বামীর পক্ষ নিয়েছেন। মল্লিকা বলেছেন, স্বামীর বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত এবং প্রায় ২০ বছর আগের এই সম্পর্কের কারণে তাঁদের ঘরে অশান্তি হয়েছিল। এক বিবৃতিতে মল্লিকা বলেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতাম। তাঁরা দুজনে অনেক রাতে ফোনে কথা বলতেন। এমনকি আমার উপস্থিতিতেও পল্লবী তাঁর অনুরাগ প্রকাশ করতেন। আমি ওই সময় আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি তাঁর পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
মল্লিকা আরও বলেছেন, কেন এখন পল্লবী এমন অভিযোগ করছেন, তা তিনি জানেন না। তবে অভিযোগটি মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক পল্লবী গগৈ সম্প্রতি ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে এম জে আকবর তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। ওই সময় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এশিয়ান এজ’-এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন এম জে আকবর।