'মোদির বিরুদ্ধে লড়বেন শত্রুঘ্ন সিনহা'
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধী প্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি মোদির আসন বারানসি থেকে সমাজবাদী পার্টি থেকে নির্বাচন করবেন।
বলিউডের এই অভিনেতা ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে সাংসদ হন। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার ও কল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময় কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পান। তবে ২০১৪ সালে সাংসদ হওয়ার পর থেকে নিজ দলের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেয় শত্রুঘ্ন সিনহার।
বলা হয়ে থাকে, শুধু শত্রুঘ্ন সিনহাই নন, একই সঙ্গে বিহারের আরেক নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার সঙ্গেও বিজেপির দূরত্ব বাড়তে থাকে। এর ফলে এই দুই নেতা বিজেপি থেকে দূরত্বে অবস্থান নেন। এদিকে এই ফাটলের ফলে শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে দিল্লির আম আদমি পার্টি এবং বিহারের লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে সমাজসংস্কারক জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মদিন উপলক্ষে সমাজবাদী পার্টি আয়োজন করে একটি অনুষ্ঠানের। সেখানে যোগ দেন শত্রুঘ্নœসিনহা ও যশোবন্ত সিনহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। এই সভায় শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপির নেতৃত্বের একহাত নেন। সমালোচনা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এরপরই রাজনৈতিক মহলে রটে যায় শত্রুঘ্ন সিনহা এবার সমাজবাদী পার্টির টিকিটে উত্তর প্রদেশের বারানসি কেন্দ্র থেকে লড়বেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। মোদি ২০১৪ সালে এই বারানসি থেকে জিতেছিলেন।
বারানসি কেন্দ্রের শিবপুর আসনের সমাজবাদী পার্টির নেতা আনন্দ মোহন ওই সভার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বারানসি কেন্দ্রের সাংসদ মোদির ওপর মানুষ খুশি নন। মানুষ চাইছে এই কেন্দ্রে পরিবর্তন আসুক। তাই তাঁরা চাইছেন এই কেন্দ্রে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করতে। তবে এই অনুষ্ঠানে শত্রুঘ্ন সিনহা সাংবাদিকদের পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি বলেন, ‘এখনো কিছু বলার সময় আসেনি। তবে মানুষের কথা ভেবেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’