এনআরসির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসামে লংমার্চ

আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসামের উদ্দেশে গতকাল রোববার লংমার্চ শুরু করে অল ইন্ডিয়া নমশূদ্র বিকাশ পরিষদ। এই লংমার্চের সফলতা কামনা করে মোবাইলে বার্তা পাঠান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসামের বাঙালিদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে শুরু হয় এই লংমার্চ।

পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি থেকে আসামের শ্রীরামপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথে লংমার্চ সূচনা করেন অল ইন্ডিয়া নমশূদ্র বিকাশ পরিষদ। যদিও গতকাল ১০ কিলোমিটার পথ যাওয়ার পর আসাম সীমান্তে আটকিয়ে দেওয়া হয় এই লংমার্চ। এ সময় আসাম পুলিশ সীমান্ত এলাকা ঘিরে রাখে জলকামান নিয়ে। এরপরে আন্দোলনকারীরা ফিরে আসেন।

এই লংমার্চ শুরুর আগে কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুল মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সাংসদ দশরথ তিরকে ও বিজয়চন্দ্র বর্মণ, আলীপুর দুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীসহ অন্য নেতারা। প্রতিবাদ সভায় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনে প্রায় নয় মিনিট ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাষণ, ওই সভায় সরাসরি শোনানো হয়।

ভাষণে মমতা বলেন, ‘আমি আপনাদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করছি। আসামের বহু মানুষের জীবনে আজ অন্ধকার নেমে এসেছে। তাঁদের আমরা সম্মান করি। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু-লিয়াকত চুক্তি, ইন্দিরা গান্ধী-মুজিবুর রহমান চুক্তির আগে যাঁরা এ দেশে এসেছিলেন, তাঁরা কেউ বহিরাগত নন। একজন প্রকৃত নাগরিককে তালিকা থেকে বাদ দিলে আমরা তা মেনে নেব না।’

মমতা আরও বলেন, ‘ভারতবর্ষকে বাঁচাতে হলে দেশ থেকে বিজেপিকে তাড়াতেই হবে। বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে মানুষকে মর্যাদা দেওয়া হয় না। বিজেপির নেতারা আজ দেশকে লুটছে। আমরা আসামে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করে আসামের পাশে দাঁড়াব। কারণ, আমরা মানুষকে মর্যাদা দিতে জানি। বাংলা কাউকে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেনি।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’ তিনি ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান দেন। তেমনই একাধিকবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও তোলেন তিনি।