সিরিয়ায় হত্যা করেছেন শতাধিক ব্যক্তিকে, তবু অনুশোচনা নেই
চারপাশে শুধু মৃত্যু আর ধ্বংস। এই দমবন্ধ করা পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারতেন না খালেদ (প্রকৃত নাম নয়)। একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজেই জড়িয়ে যাবেন এই হত্যাযজ্ঞে, হত্যাকারী হবেন। তাঁকে পাঠানো হয় এক বিশেষ আমন্ত্রণ।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আলেপ্পোর এক বিমান চলাচল এলাকায় ছয়জনকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে একজন ফরাসি প্রশিক্ষক তাঁদের শেখাবেন কীভাবে পিস্তল, সাইলেন্সার লাগানো অস্ত্র ও স্নাইপার রাইফেল দিয়ে হত্যা করতে হয়। তাঁরা শিখলেন কীভাবে এসব দিয়ে হত্যা করতে হয়। আর এই হত্যার লক্ষ্যভেদে নিপুণ হওয়ার জন্য শিকার হিসেবে তাঁদের দেওয়া হয় বন্দী ব্যক্তিদের। এক খালেদই হত্যা করেছেন শতাধিক মানুষকে। তবে এই নির্মমতার জন্য কোনো অনুশোচনাই নেই তাঁর। কে এই খালেদ?
সাত বছর ধরে সিরিয়ায় চলছে ভয়াবহ যুদ্ধ। প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদের সরকার দেশটিতে বিদ্রোহী গ্রুপ ও ইসলামি স্টেটের (আইএস) জিহাদি—এই দুই পক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের শহর রাকা হচ্ছে মূল যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানের একজন হলেন খালেদ। কীভাবে খালেদের মতো একজন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী এই রক্তপাতের পাকে আটকে গেছেন, হয়ে গেছেন একজন হত্যাকারী, সেই কাহিনি তুলে আনা হয়েছে আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক খবরে। খালেদকে নিয়ে বিবিসির এই তথ্যচিত্র ২ থেকে ৪ মে পর্যন্ত বিবিসি যুক্তরাজ্য প্রচার করেছে। আগামী ২৬ মে ও ২ জুন এটা বিবিসি ওয়ার্ল্ড বিশ্বজুড়ে প্রচার করবে।
বিবিসিকে খালেদ জানান, লক্ষ্যভেদের জন্য তাঁদের দেওয়া হতো বন্দী সেনাদের। তাদের জটিল জায়গায় এমনভাবে রাখা হতো যেন স্নাইপার দিয়ে লক্ষ্যে গুলি করা যায়। অথবা একদল বন্দীকে সামনে দিয়ে বলা হতো, যেকোনো একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করতে হবে। অন্য কারও গায়ে যেন গুলি না লাগে। এভাবে গুলি করে মানুষ হত্যার জন্য দক্ষ হতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
খালেদ বলেন, বেশির ভাগ হত্যাই হয়েছে মোটরবাইকে বসে। একজন বাইক চালাত। আর যে হত্যা করবে সে ওই বাইকের পেছনে চড়ে বসত। টার্গেট গাড়িটির ঠিক পাশের বাইকে বসে হত্যা করা হতো, যাতে ওই ব্যক্তি পালাতে না পারেন।
খালেদ শিখেছিলেন, যাকে হত্যা করবেন তাঁকে কীভাবে অনুসরণ করতে হয়। কাছাকাছি যেতে না পারলেও কীভাবে হত্যা করতে হয়। কীভাবে সারি বেঁধে আসা গাড়িগুলোকে অমনোযোগী করা যায়, যাতে তাঁর অপর হত্যাকারী সঙ্গী হত্যার জন্য লক্ষ্য স্থির করতে পারেন।
এটা একটা ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী অমানবিক শিক্ষা। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সিরিয়ার সেনারা রাকা থেকে পিছু হটা শুরু করে। ইসলামি উগ্রপন্থী দল আহরার আল শামের নেতারা উত্তরাঞ্চলের শহরটি দখল করে শাসন এবং তাঁদের বিরোধীদের নির্মূল করা শুরু করেন।
ওই সময় খালেদ একটি গ্রুপের কমান্ডার হন। রাকার নিরাপত্তা কার্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানান, ২০১১ সালে এ যুদ্ধ শুরুর আগে তিনি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। কিছুটা ধার্মিক হলেও কট্টর ছিলেন না।
সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে তিনি ওই সময়ে ভয়মিশ্রিত একধরনের স্বাধীনতা বোধ করার অনুভূতি পেতেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য কিছু একটা করছি, এমন বোধ হতো। আমরা স্বাধীনতা আনতে চেয়েছি এবং আসাদের পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রেসিডেন্ট পদে চেয়েছি। আমরা ছোট ছোট দলে ছিলাম। একেকটি দলে ২৫-৩০ জনের বেশি ছিল না। শুরুতে কেউ অস্ত্র চালানোর কথা চিন্তাও করেনি। আমাদের সেই সাহস ছিল না।’
এর মধ্যেই চলছিল সরকারি বাহিনীর ধরপাকড়, গ্রেপ্তার, মারধর। গ্রেপ্তার হন খালেদ। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে তাঁকে ভিডিও ফুটেজ থেকে কেউ একজন শনাক্ত করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নিজের বাসা থেকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় অপরাধ নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগে। এরপর অন্য বিভাগে। কখনো রাজনৈতিক নিরাপত্তা, কখনো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগে। এভাবে চলতে চলতে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী হন। এক মাস সেখানে বন্দী থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই সময়ে নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘কারাগারে যখন আমাকে নেওয়া হয়, তখন আমি মেরুদণ্ডের ব্যথায় হাঁটতে পারতাম না। ঘুমাতে পারতাম না।
তিনি জানান, তাঁকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছিলেন অপরাধ নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের এক রক্ষী। প্রেসিডেন্ট আসাদের ছবির সামনে তাঁকে জোর করে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে বলতেন, ‘তোমার ঈশ্বর মরে যাবে, কিন্তু তিনি (আসাদ) মরবেন না। তিনিই টিকে থাকবেন।’
খালেদ বলেন, ‘এক দিন পর পর ওই রক্ষীর সেখানে দায়িত্ব থাকত। যেদিন সে আসত, সেদিন জানতাম আজ আমাকে ভয়াবহ অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমাকে শিকল দিয়ে দুই হাত বেঁধে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে রাখত। বিবস্ত্র করে পেছনে চাবুক দিয়ে বাড়ি দিত আর বলত, “আমি তোমাকে ঘৃণা করি, আমি তোমাকে ঘৃণা করি। আমি চাই তুমি মরে যাও। তোমার মৃত্যু যেন আমার হাতে হয়।” আমার হাত পা অচল হয়ে যায় নির্যাতনে। আমাকে যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়, তখন অন্য বন্দীরা আমার অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলেছিল। আমাকে স্ট্রেচারে করে সেখানে নেওয়া হয়।’
খালেদ বলেন, ‘আমি শপথ নিয়েছিলাম, আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে আমি ওই রক্ষীকে হত্যা করব, তা সে যেখানেই যাক না কেন। সে যদি দামেস্কে চলে যায়। আমি সেখানে গিয়ে হলেও তাকে হত্যা করব।’
খালেদ জানান, কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরপর তিনি অস্ত্র তুলে নেন। হত্যা শুরু করেন। অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ জোগাতে অপহরণ করেন। আকর্ষণীয় নারীদের দিয়ে ফাঁদ পাতা বাহিনীর সঙ্গেও যুক্ত হন। যারা বিক্ষোভকারীদের ভয়াবহ নির্যাতন করত, তাদের শনাক্ত করে ওই নারীদের দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফাঁদ পাতা হতো। পরে ওই ব্যক্তিদের হত্যা করা হতো। তাদের দিয়ে জোর করে সরকারি বাহিনী ছাড়ার ভিডিও চিত্র করা হতো, যাতে তারা কেউ কোনো দিন আর প্রেসিডেন্ট আসাদের হয়ে কাজ করার সুযোগ না পায়। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের ১৭তম রিজার্ভ ডিভিশনের ৩৫ জন সেনাকে এইভাবে বাহিনী ছাড়তে তিনি বাধ্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন খালেদ।
যেই রক্ষীর ওপর ভয়ানক ক্ষেপে ছিলেন সেই রক্ষীকে শেষ পর্যন্ত ধরেছিলেন খালেদ। তিনি বলেন, ‘কারাগারে ওই রক্ষীর একটি কথা আমার মনে আছে। সে বলেছিল, যদি আমি কারাগার থেকে বেঁচে ফিরি এবং তাকে ধরতে পারি, তাহলে আমি যেন তার প্রতি কোনো রকম দয়া না দেখাই। আমি তাই-ই করেছি। আমি তার হাত কেটেছি। জিহ্বা কেটেছি। সে মৃত্যুর জন্য ভিক্ষা চাওয়ার পর তাকে হত্যা করেছি। এরপরও আমি শান্তি পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘যতভাবে নির্যাতন করা যায়, ততটাই আমি তাকে করেছি। এর জন্য আমার কোনো দুঃখবোধ নেই। যদি দেশটিতে এমন একটি কর্তৃপক্ষ থাকত, যেখানে কারাগারে বন্দীদের মারধর ও অমানবিক নির্যাতনের কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যেত, তাহলে হয়তো আমি তার সঙ্গে এমন করতাম না। কিন্তু এখানে কারও কাছে এমন অভিযোগ জানানো যায়নি। তাকে কেউ থামায়নি।’
তবে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহের ওপরও আর আস্থা রাখতে পারেননি খালেদ। ওই গ্রুপগুলোর ভয়াবহ চেহারা সামনে আসতে থাকে। পালিয়ে বেড়ান তিনি। বিদ্রোহের পরিবর্তে প্রতিদিন নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ের দিকে মনোযোগ দিতে হয়েছে তাঁকে। আস্থার সংকট, কৌশল নিয়ে মতবিরোধ, ক্ষমতার দোদুল্যমান পরিস্থিতির কারণে সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলোও নানা ভাগে বিভক্ত হয়েছে। যেই দল খালেদকে হত্যাকারী হিসেবে তৈরি করেছে, সেই আল শাম ছেড়ে খালেদ যোগ দেন সিরিয়ায় আল-কায়েদা অধিভুক্ত আল নুসরা ফ্রন্টে। ২০১৪ সালের শুরুতে রাকা আইএসের কার্যত রাজধানীতে পরিণত হয়।
খালেদ জানান, আইএস সেখানের সাধারণ মানুষের ভূমি দখল করে হত্যা, নির্যাতন চালাতে থাকে। তুচ্ছ কারণে হত্যা করা হতো। তারা হত্যা, চুরি, ধর্ষণসহ এমন কিছু নেই, যা করত না। কেউ ‘ওহ, মোহাম্মদ’ বললে ব্লাসফেমির দায়ে তাকে হত্যা করা হতো। ছবি তুললে, মোবাইল রাখলে শাস্তি পেতে হতো। নিরীহ নারীদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারীর অভিযোগ এনে সন্তানদের সামনে পাথর মেরে হত্যা করা হতো। আইএস অন্যান্য বিদ্রোহী গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়ে এসে উচ্চ পদে বসাত। খালেদকে ‘নিরাপত্তাপ্রধান’ পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অর্থ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা ভেবে তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হন।
খালেদ বলেন, ‘আমি রাজি হই। আল নুসরার নেতা আবু আল আব্বাসের সম্মতিতে দ্বৈত এজেন্ট হিসেবে ঢুকে পড়ি আইএসে। আমি প্রকাশ্যে আইএসকে বন্ধুত্বের চেহারা দেখাতাম। আর গোপনে তাদের সদস্যদের অপহরণ করে জিজ্ঞাসাবাদ করতাম, হত্যা করতাম। আবু আব্বাসকে তথ্য দিতাম। প্রথম যাকে অপহরণ করে হত্যা করি, সে ছিল সিরিয়ার একজন নাগরিক, আইএস প্রশিক্ষণ শিবিরের নেতা।’ তিনি জানান, আইএসের ১৬ জনকে তিনি হত্যা করেন। আইএসে আল নুসরার এমন গুপ্তচরবৃত্তির কারণও ছিল। ২০১৩ সালে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি আইএসে আল নুসরাকে অধিভুক্ত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অন্য গ্রুপগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। সেই প্রত্যাখ্যান ভোলেনি আল নুসরা।
খালেদের ভাষায়, আইএস অর্থের জন্য ধর্ম বিক্রি করেছে, আহরার আল শামের সঙ্গে তারা বেইমানি করেছে, সিরিয়ার সেনাদের ছেড়ে দিয়েছে।
খালেদ জানান, আইএস তাঁকে হত্যা মিশনে পাঠাত। এক ইসলামি চিন্তাবিদ আল বাবকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর বাসার দরজায় টোকা দেওয়ার পর তিনি দরজা খুলে দিলেন। আমি দ্রুতগতিতে তাঁর মুখ বরাবর পিস্তল তাক করি। তাঁর স্ত্রী চিৎকার শুরু করেন। আমি কিছু বলার আগেই তিনি (আল বাব) বলতে শুরু করেন, “তোমার কী চাই? অর্থ? এই নাও। যা খুশি নাও। তাও আমাকে ছেড়ে দাও।” অর্থ চাই না জানিয়ে আমি তাঁর স্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম। ওই সময় তিনি (আল বাব) বললেন, “অর্থ নাও। যদি তুমি আমার স্ত্রীর সঙ্গ চাও আমার সামনে, তা-ও নিতে পার। কিন্তু তাও আমাকে হত্যা কোরো না।” এটা শোনার পর তাঁকে হত্যা করতে পুরো উৎসাহ পাই।’
আইএসে যোগ দেওয়ার এক মাস পর খালেদ নিশ্চিত হন ওরা তাঁকেও খুব শিগগিরই হত্যা করবে। তিনি পালিয়ে যান। প্রথমে গাড়িতে করে চলে যান দের আল-জোর শহরে। পরে সেখান থেকে তুরস্কে।
খালেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যা করেছেন তার জন্য অনুশোচনা আছে কি না, একদিন তিনিও বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। খালেদের সাদাসিধে উত্তর, ‘যা ভেবেছি তা হলো কীভাবে পালাতে হবে, কীভাবে বেঁচে থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যা করেছি, তা অন্যায় নয়। আপনি কি করতেন যখন দেখতেন কেউ অস্ত্র উঁচিয়ে আপনার বাবাকে মারধর করছে, ভাইকে অথবা স্বজনদের হত্যা করছে। আপনি চুপ থাকতে পারবেন না। কোনো শক্তি আপনাকে আটকাতে পারত না। আমি যা করেছি, তা আত্মরক্ষার জন্য করেছি। আইএস-সহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি। এর জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আল্লাহ জানেন, আমি কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করিনি।’
খালেদ বলেন, ‘আয়নায় নিজেকে দেখলে যুবরাজ মনে হয়। রাতে ভালো ঘুমাতে পারি। কারণ যাদের হত্যা করেছি, তাদের মরাই উচিত ছিল। সিরিয়া ছেড়ে আসার পর আমি আবার একজন সাধারণ মানুষ হয়ে গেছি। কেউ যদি এখন আমাকে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু বলতে চায়, কর্কশ আচরণ করতে চায়, তাহলে আমি আমি বলব, এটা আপনার ইচ্ছা।’