‘একতলা ভিতের ওপর যেমন তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করা যায় না, তেমনি স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটিয়ে হঠাৎ করে তাকে স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপায়িত করা যায় না।’ কথাটি সাহিত্যিক আহমদ ছফার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি কথাটি লিখেছিলেন। তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলোর ভেতর দিয়ে তিনি স্বদেশের নানা পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।
গতকাল সকালে আহমদ ছফার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তৃতীয়বারের মতো একটি জন্মদিন বক্তৃতার আয়োজন করে ‘আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ সম্মেলনকক্ষে এই বক্তৃতাসভায় ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও নতুন জাতির অভ্যুদয়’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পড়েন সামসুদ্দোজা সাজেন।
প্রবন্ধের নানা দিক এবং ছফাকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন নাসির আলী মামুন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক মনসুর মূসা, আফজালুর রহমান, সাখাওয়াত টিপু ও দীপঙ্কর গৌতম।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ছফার চিন্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই সভা। তাঁকে বুঝতে হলে কবি কাজী নজরুল ইসলামকেও বুঝতে হবে। ছফা নজরুলের দর্শনের প্রকৃত উত্তরসূরি।
সভার সভাপতি কামাল লোহানী বলেন, ছফার পরিচিতি খুবই কম। চরিত্রের দিক থেকে বোহেমিয়ান হলেও ভেতরে ভেতরে ছফা ছিলেন স্পষ্টবাদী ও বলিষ্ঠ এক সমাজচিন্তক। তাঁর উপন্যাসগুলো সেই সাক্ষ্য বহন করে।
২০০১ সালে ছফা মৃত্যুবরণ করেন। পরের বছর থেকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে প্রতিবছর একটি স্মৃতিবক্তৃতা করে আসছে রাষ্ট্রসভা। গত দুই বছর জন্মদিবসেও বক্তৃতা সভার আয়োজন করছেন তাঁর পাঠক ও ভক্তরা।