দীপিকা 'সুপারহিরো'!
বলিউডের রাজকুমারী দীপিকা পাড়ুকোনের মুকুটে যেন আরও পালক চাই। রোমান্টিক ছবির নায়িকা দীপিকা এখন সুপারহিরো হওয়ার বাসনা পোষণ করছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ‘অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজের মতো চরিত্রের জন্য মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সঙ্গেও কাজ করতে রাজি তিনি। লন্ডনে নিজের মোমের মূর্তি উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সে কথাই জানিয়েছেন এই বলিউড সুন্দরী।
সম্প্রতি লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মোমের মূর্তির জন্য বহু আঙ্গিকে মাপ নেওয়া হয় তাঁর। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালের আইফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের দীপিকার চেহারাটাই বেশি মন কেড়েছে ভাস্করের। ভারতীয় নকশাকার সব্যসাচীর নকশা করা পোশাকে দীপিকা এখন মোম হয়ে হাসি ছড়াচ্ছেন মাদাম তুসো জাদুঘরে। নিজের স্ত্রীর এই মূর্তি দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান রণবীর সিং। জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেই বসলেন, ‘আমি কি এটা নিয়ে যেতে পারি?’
মোমের মূর্তি উন্মোচনের সেই আসরে দীপিকা জানিয়েছেন, সুপারহিরোর একটি গল্পে কাজ করতে চান তিনি। তবে সেই গল্প হতে হবে ভারতীয়। মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। কেন নয়? তবে ভারতীয় গল্পে। মার্ভেল বা যে প্রতিষ্ঠানই হোক, “অ্যাভেঞ্জার” বা যে সিরিজই হোক; যে আইকনিক চরিত্রগুলো সিনেমায় দেখা যায়, সেগুলো দারুণ। আমার মনে হয়, মানুষ ভারতীয় সুপারহিরোর গল্প পর্দায় দেখতে চায়। আমার বিশ্বাস শিগগির সেটা দেখা যাবে।’
মূর্তি উন্মোচনের আয়োজনে লন্ডনে কেবল দীপিকা ও রণবীরই নন, গিয়েছিলেন দুই পরিবারের প্রায় সবাই। ছিলেন দীপিকার মা-বাবা প্রকাশ ও উজ্জ্বলা পাড়ুকোন, বোন আনিশা পাড়ুকোন এবং রণবীরের মা-বাবা। অনুষ্ঠানে দীপিকা বলেছেন, ‘ছোটবেলায় আমি খুবই উৎসুক একটা মেয়ে ছিলাম। সবকিছু নিয়েই আমার ছিল বিপুল আগ্রহ, সেটা ছোট হোক বা বড় কোনো বিষয়। এমনকি এখন পর্যন্ত জীবনে আমি যা কিছু করেছি, সেসব কাজের উদ্দেশ্য ছিল আমার কাছে জরুরি।’
দীপিকা বলেন, ‘মাদাম তুসো থেকে ফোন পাওয়ার পর ভাবলাম, কী হবে এসব করে? আমরা এসব কেন করছি? আমার ভক্তরা কেন আমাকে মনে রাখবেন? আমার দেহের এই গড়ন তাঁদের কাছে কী অর্থ বহন করবে? এসবের পেছনেও তো এমন কিছু একটা থাকা চাই, যা মানুষকে উদ্দীপনা জোগাবে। আমার খুব ভালো লাগার জায়গা হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। এ বিষয় নিয়ে কাজ করার খুব আগ্রহ আমার। আমি চাই, ভক্তরা আমার শরীরের গড়নের দিকে যখন তাকাবেন, তখন তাঁদের মনে পড়ে যাবে, মেয়েটি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতেই এত কিছু করেছিল। সে এ বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চেষ্টা করেছিল। আমার বিশ্বাস, আমার এই মূর্তি মানুষের ভেতরে সেই আশার সঞ্চার করবে।’
সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ‘ভোগ’-এর ফিচার হয়েছেন দীপিকা। সাময়িকীর এপ্রিল সংখ্যায় বিশ্বের মোট ১৪ জন অভিনেত্রীকে ফিচার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, হিন্দুস্তান টাইমস