সৌমিত্র বাক্রুদ্ধ
‘৬০ বছরের সম্পর্ক আমাদের। বন্ধুত্ব তো বটেই। পারিবারিক সম্পর্ক। আমি অত্যন্ত মর্মাহত। আজ আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বললেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেন আর নেই। ভবানীপুরে নিজ বাড়িতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ রোববার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। এই চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যুতে শোকাহত ভারতের চলচ্চিত্র জগৎ।
মৃণাল সেনের মৃত্যুর খবর শুনে বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে কারও সঙ্গেই কিছু বলতে পারছিলেন না। এই দুই কিংবদন্তির অনেক বছরের সম্পর্ক ছিল। পরিচালক ও অভিনেতার সম্পর্কের পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ছিল ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক।
মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘পুনশ্চ’ (১৯৬১), ‘প্রতিনিধি’ (১৯৬৪) ও ‘আকাশকুসুম’ (১৯৬৫) ছবিতে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের ঝুলিতে রয়েছে ১৮টি জাতীয় ও ১২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। মস্কো, বার্লিন ও কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হন তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে বিনোদন জগতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। সাহিত্য ও শিল্পে অবদানের জন্য তাঁকে ‘কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’ সম্মানে সম্মানিত করে ফরাসি সরকার। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস’।