রাজ আর শুভশ্রীর বিয়েতে কী খাচ্ছেন অতিথিরা?
ভারতের বাংলা ছবির জগতে এ সময়ের আলোচিত বিয়ে হচ্ছে আজ শুক্রবার রাতেই। গত ৬ মার্চ ভারতের পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে চিত্রনায়িকা শুভশ্রীর আইনি বিয়ে হয়ে গেছে। বাকি আছে রীতি মেনে বিয়ে। আজ রাতে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়িতে। এখানে রীতি মেনে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী। গত কয়েক দিন ধরেই এখানে পুরো বিয়ের আমেজ। এসেছেন এই দুই তারকার বন্ধু, সহকর্মী আর আত্মীয়রা।
বিয়ে তো হবে। কিন্তু বিয়ের আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য কী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে? ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দুই জনপ্রিয় তারকার বিয়ে বলে কথা! এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যম জানতে পেরেছে বিয়ের খাবারের তালিকা। কী কী খাবার থাকছে, জানতে চান?
ভারতের একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ থেকে জানা গেছে, রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রীর বিয়ের আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য খাবারের তালিকায় থাকছে ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি কিছু চায়নিজ পদও। এই যেমন লুচি ও আলু দম, ছোলার ডাল, মালাই কোফতা, চিকেন রেশমি বাটার মশালা, ভেটকি পাতুরি, হান্ডি মটন, ভেজিটেবল পোলাও, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ভেজিটেবল মাঞ্চুরিয়ান, ভেজিটেবল হাক্কা নুডলস, ভেজ ও নন-ভেজ স্যুপ, ফিশ ইন চিলি অয়েস্টার সস, চিকেন মালাই কাবাব, চিলি পনির, প্যান ফ্রায়েড চিলি ফিশ, চিলি গারলিক পিপার চিকেন, ক্যারামেল কাস্টার্ড, চকলেট মাডপাই, পাটিসাপটা ও ক্ষীর। আজ মধ্যাহ্নভোজেও ছিল হরেক রকম পদ। অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হয় থালা সাজিয়ে সাবেকি ধাঁচে।
আরও জানা গেছে, বিয়েতে লাল বেনারসি, চন্দন আর সোনার গয়নায় সাবেকি সাজে সাজবেন শুভশ্রী। সাজগোজ হবে পরিপাটি। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে তিনি পড়েছেন পূজা প্রসাদের ডিজাইন করা লেহেঙ্গা। আজ সকালেই বাওয়ালি রাজবাড়িতে পৌঁছে যান দুই পরিবারের আত্মীয় আর বন্ধুরা। শুভশ্রীর পছন্দ সাবেকি সাজ। গায়েহলুদের জন্য সেজেছিলেন সেভাবেই। অফ হোয়াইট লেহেঙ্গার সঙ্গে ফুলের গয়না।
আজ সকালে শুরুতে রাজের গায়েহলুদ হয়। শুভশ্রী তখন ব্যস্ত ছিলেন সাজগোজ নিয়ে। পরে মঞ্চে আসেন শুভশ্রী। ভারতের বাংলা ছবির জনপ্রিয় এই নায়িকা বর্ধমানের মেয়ে। প্রয়োজনীয় সব উপচার নিয়ে পুরোহিতকে আনা হয় বর্ধমান থেকে। আত্মীয় আর বন্ধুদের সমাগমে সব রীতি মেনে হলো গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। গায়েহলুদের পর ছিল তত্ত্ব আদান-প্রদান। দুই পরিবার থেকেই তত্ত্ব সাজিয়ে হাজির হন আত্মীয়স্বজন। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় জমকালো সংগীতের অনুষ্ঠান। উজ্জ্বল পাঞ্জাবি আর কুর্তায় সেজেছেন রাজ।
রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুভশ্রীর বাগদান আর আইনি বিয়ে হয় গোপনে। গত ৬ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতায় রাজের আনন্দপুর ফ্ল্যাটে আয়োজিত এই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নিজেদের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।
বাগদানের জন্য এত গোপনীয়তা কেন? কারণ এর আগে রাজ আর শুভশ্রীর বিয়ের তারিখ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়েটা আর হয়নি। তখন তা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নানা কিছু লেখা হয়। রাজ ও শুভশ্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিভিন্ন সময় অনেক জটিলতা এসেছে। কখনো শোনা গেছে, তাঁরা একসঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেছেন। কখনো একসঙ্গে ডিনারে যাওয়ার খবর রটেছে। কিন্তু সবকিছুকেই এত দিন গসিপ বলে উড়িয়ে দেন তাঁরা।
সেদিন রাজের আনন্দপুর ফ্ল্যাটে দুজনের জন্য ছিল একটি চকলেট কেক। এর আগে তাঁদের পরিবার এবং খুব কাছের বন্ধুদের ডাকা হয়। তাঁদের বলা হয়, রাতে ছোট একটা মিলনমেলা হবে। তবে কী কারণে এই আয়োজন, তা জানানো হয়নি। রাজ-শুভশ্রী বিষয়টি গোপন রাখেন। বাগদানের পাশাপাশি রাজ আর শুভশ্রী বিয়ে রেজিস্ট্রির কাজও সম্পন্ন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভশ্রীর মা এবং রাজের মা-বাবা।
বাগদান আর আইনি বিয়ের পর উপস্থিত বন্ধুদের কাছে শুভশ্রী বলেন, ‘আমাদের গল্পটা অন্য রকম। তবে আমার কাছে ভালোই লাগে। রাস্তাটা অগোছালো ছিল। এবার এক রাস্তায় বাকি জীবনটা হাঁটতে এনগেজমেন্ট করে নিলাম। প্রত্যেকের ভালোবাসা আর গুরুজনদের আশীর্বাদ আমাদের ভীষণ প্রয়োজন।’