কী পড়ানো হয়
ব্যবসায়িক সম্পর্ক কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, কেমন করে ব্যবসা পরিচালিত হয়, কীভাবে একটা নতুন ব্যবসা শুরু হতে পারে...এই সব বিষয় থেকে শুরু করে করপোরেট জগতের খুঁটিনাটি সম্পর্কেও জানা যায় ব্যবসায় প্রশাসন পড়ে। ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগ যেমন বিপণন, হিসাবরক্ষণ, অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বিনিয়োগের আর্থিক সংস্থান, সাপ্লাই চেইন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে একজন বিবিএর শিক্ষার্থী স্পষ্টভাবে জানতে পারেন। অংশীদারদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হয়, ‘সাপ্লাই চেইন’–এর মাধ্যমে কিংবা পণ্য সরবরাহ করা হয়, এসবই একজন বিবিএর শিক্ষার্থীকে জানতে হয়। আর ব্যবসা করতে গেলে এ–সম্পর্কিত বিষয়গুলো ছাড়াও আরও নানা বিষয়ে জ্ঞান রাখা জরুরি। তাই এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের কোর্স করানো হয়। বিভিন্ন কোর্সের অধীনে প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।
ক্যারিয়ার কোথায়
বিবিএ পড়ে কাজের ক্ষেত্রের যেকোনো কমতি হবে না, তা বলা বাহুল্য। তবে কোন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহ আছে, সেদিকে লক্ষ রেখেই এগোতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিলাসবহুল বা অভিজাত পণ্য ও সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও বা কৃষি এবং কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও কাজ করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কাজ বা বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করাও একজন বিবিএর শিক্ষার্থীর জন্য সহজ।
ভবিষ্যৎ কী
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে তথ্য ও উপাত্তভিত্তিক বিষয়ে কাজ করছে। আর বিবিএতে বিশেষ করে বিপণন বিভাগে তথ্য ও উপাত্তকেন্দ্রিক বিষয়গুলো নিয়েই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। যেমন আর্থিক উপাত্তগুলো বর্ণনা করা এবং তা থেকে কীভাবে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান এমন কর্মীই নির্বাচন করতে চায়, যেন তাঁরা নির্দিষ্ট কাজের বাইরেও সম্পূর্ণ ব্যবসা কীভাবে পরিচালনা করলে তা ফলপ্রসূ হবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা রাখেন। বিবিএতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং বিশ্লেষণ করতে হয় তা শেখানো হয়, যা বর্তমান চাকরির বাজারে বেশ চাহিদাসম্পন্ন একটি বিষয়। চাকরি করা ছাড়াও নিজের ব্যবসা শুরু করা বা উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিবিএ পড়লে সেই জ্ঞান দিয়ে নিজেই নিজের ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি, মানবসম্পদ কাজে লাগানো, আর্থিক সংস্থানের বিষয়গুলো দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায়। আর চাকরির ক্ষেত্রে আর্থিক ও অনার্থিক ক্ষেত্রে জাতীয় এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন বিভাগে কাজ করা সম্ভব।
কারা পড়বে
যে কোনো শাখার শিক্ষার্থীরাই বিবিএ পড়তে পারেন। তবে বর্তমানের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় চাকরিপ্রার্থীর চেয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা যাঁদের আছে, তাঁদেরই বিবিএ পড়তে অনুপ্রাণিত করতে চাই। এ ছাড়া যাঁরা চাকরি বা কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বা ঝুঁকি নেওয়ায় আগ্রহী এবং সৃজনশীল কাজে এগিয়ে আসতে চান, তাঁরাও বিবিএ পড়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে পারেন। তবে বিবিএ পড়ার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া ভালো যে এটি পড়তে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীর নানা রকম চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা, পারস্পরিক সম্পর্ক বা যোগাযোগ উন্নয়ন এবং অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার মতো বিষয়গুলো রপ্ত করা আবশ্যক।
বিবিধ
কর্মশালা
* ২৩ মার্চ ঢাকার বনানীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান–সংক্রান্ত আইন বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আইনে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তারা এই কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন। বিস্তারিত: bit.ly/2TPVcSO
* ২৭ থেকে ২৮ মার্চ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অধীন আমেরিকান সেন্টারে এডুকেশনইউএসএ বাংলাদেশের আয়োজনে জিআরই–বিষয়ক একটি দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। বৃত্তি
* ২০২০ সালের জন্য অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পড়তে আবেদন করা যাবে। আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। বিস্তারিত: bit.ly/2W9usck
* ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল আবেদনের শেষ তারিখ। বিস্তারিত: bit.ly/1Nz4Uuy
* উন্নয়ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক স্কলারশিপ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১১ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত: bit.ly/2jv8lOi