'মোবাইলে আর্থিক সেবায় পৃথিবীকে চমকে দেওয়ার অবস্থানে বাংলাদেশ'
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের মোবাইলে আর্থিক সেবা সারা পৃথিবীকে চমকে দেওয়ার অবস্থানে পৌঁছেছে। এই সেবার আওতায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এতে এক টুকরো কাগজেরও দরকার হয় না। এটাই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ডাক অধিদপ্তরের আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’–র গ্রাহক নিবন্ধন (কেওয়াইসি) প্রক্রিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানবির এ মিশুক বক্তব্য দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির গতির জন্য প্রতিযোগিতা দরকার। মোবাইল আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তরের নগদ গতি সঞ্চার করবে। মন্ত্রী দেশের সার্বিক অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হতে না পারলেও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের এই পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়ার জায়গা অতিক্রম করেছে। যেসব দেশ প্রথম তিনটি শিল্পবিপ্লব করেছে, তারাও এখন বাংলাদেশের দিকে নজর রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে অনুকরণ করছে। প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোজন ফাইভজি পৃথিবীকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। গত জুলাই মাসে ফাইভজির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে শেষ করেছি। প্রযুক্তির রূপান্তরের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে কেউ বাংলাদেশকে ঠেকাতে পারবে না।’
গ্রাহকদের জন্য ঝামেলাহীন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে নগদের ডিজিটাল কেওয়াইসি নিবন্ধন চালু করা হয়। এই প্রক্রিয়া শেষ করতে গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধনকৃত মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে হবে। কেওয়াইসি আবেদনপত্রের নির্ধারিত ঘর স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য থেকে পূরণ হবে। এই প্রক্রিয়ায় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে গ্রাহকেরা নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন।