চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ, ঢুকছে না রপ্তানি পণ্যও
পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বন্দরের জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো স্বাভাবিক আছে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরমুখী কোনো গাড়ি ঢোকেনি। বেরও হয়নি।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বন্দরের অভ্যন্তরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো হচ্ছে। বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস দেওয়ার জন্যও বন্দরের প্রস্তুতি আছে। তবে পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি বন্দরে না আসায় পণ্য খালাস দেওয়া যাচ্ছে না।
বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস হয় কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও কনটেইনারবাহী গাড়িতে। আবার রপ্তানি পণ্য নেওয়া হয় শুধু কনটেইনারবাহী গাড়িতে। সব ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিও ব্যাহত হচ্ছে।
কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আবু বকর প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি আছে ১১ হাজার। এগুলোর একটিও চলছে না। ধর্মঘটের প্রতি তাদেরও সমর্থন আছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়ছে। দেশের স্বার্থে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা উচিত।