সাহস নিয়ে প্রতিবাদ, সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

নবীন–প্রবীণের উষ্ণ প্রীতির নিবিড় বন্ধনে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে উঠেছিল প্রথম আলো আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠান। মঞ্চে (বাঁ থেকে) সালমা আক্তার, ফওজিয়া মোসলেম, লামিয়া আশরাফ মণ্ডল, মরিয়ম আক্তার, রাশেদা কে চৌধূরী, দিনা মৃ, কানিজ আলমাস খান, সাদিয়া ইয়াসমিন, মহসীনা আক্তার, হামিদা হোসেন ও পারভিন মাহমুদ। গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে
ছবি: আশরাফুল আলম

সৎ, সত্যের পথে থেকে নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় জানালেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহস, সংগ্রাম ও সাফল্যের পরিচয় দেওয়া নারীরা। তাঁদের অভিনন্দিত করলেন অগ্রজ ও কৃতীরা। নবীন–প্রবীণের উষ্ণ প্রীতির নিবিড় বন্ধনের ফাল্গুনের পড়ন্ত বেলায় আনন্দ প্রেরণায় প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে উঠেছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান।

গতকাল সোমবার ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রথম আলো। এতে এবার সহযোগিতায় ছিল নারীদের জন্য সিটি ব্যাংকের বিশেষায়িত সেবা ‘সিটি আলো’। বিকেল চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল রেকর্ডে শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গাওয়া ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটি বাজিয়ে শোনানোর সঙ্গে মঞ্চের নেপথ্যে ডিজিটাল পর্দায় আলোকচ্ছটার দৃশ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। গানের সঙ্গে মিলনায়তনে অংশগ্রহণকারীরও কণ্ঠ মেলান। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে গান, সাহসী, প্রতিবাদী, সফল, সংগ্রামী নারীদের নিজেদের কথা, তাঁদের অভিনন্দিত করা ও অতিথিদের বক্তব্যের ভেতর দিয়ে।

এ পরিক্রমা শুরু হয়েছিল মা-মেয়ের যুগলবন্দী গানে। শিল্পী নাশিদ কামাল ও তাঁর মেয়ে আরমিন মূসা গেয়ে শোনালেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘শুকনো পাতার নূপুর’ এবং এটি যে তুর্কি গানের সুর অবলম্বন করে কবি রচনা করেছিলেন, সেই মূল গানটি। পরে গেয়েছেন লোকগান ‘ভ্রমরা রে’।

নিজের জীবনসংগ্রাম, শখ, সাফল্যের কথা শোনাতে আসেন পাঁচ কৃতী নারী। তাঁদের কারও কারও সাহস ও সাফল্যের কথা প্রথম আলোতে সাম্প্রতিক সময় ছাপা হয়েছে এবং কারও কারও কথা নারী দিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। অভিনয়শিল্পী মহসীনা আক্তার বলেন, তিনি একাধারে অভিনয়, নাটকের নির্দেশনা, মঞ্চসজ্জা, আলোকসজ্জার কাজ করেন। কঠিন পরিশ্রম করেন, সপ্তাহে সাত দিন কাজ করেন। বলেন, নিজের যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। তারপরও লোকমুখে নানা অবাঞ্ছিত কথা শুনতে হয়। সেসব কথায় কান না দিয়ে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের মঞ্চে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফুলপরীর পরিবার। বাঁ থেকে ছোট ভাই ওমর আলী, বড় ভাই হযরত আলী, বাবা আতাউর রহমান, ফুলপরী খাতুন ও মা তাসলিমা খাতুন

নারী বাইকার সাদিয়া ইয়াসমীন চৌধুরী বলেন, তিনি নারী হয়ে বাইক চালান, এটা অনেকে মানতেই চায় না। তাঁর অনেক মজার অভিজ্ঞতাও হয়। ঢাকার সড়কে ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেলে ট্রাফিক পুলিশ বা অনেক সময় পাশের বাইকার অভ্যাসবশত বলে ফেলেন ‘জ্যাম ছুটেছে, ভাই এগিয়ে যান।’ তারপর তিনি যখন হেলমেট খুলে বলেন ‘আমি ভাই না’, তখন তাঁরা রীতিমতো বিস্মিত হয়ে পড়েন।

টাঙ্গাইলের ফ্রিল্যান্সার দিনা মৃ জানান কীভাবে তিনি নার্সিং পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে সাফল্য অর্জন করলেন। তাঁর স্বামীসহ পরিবারের সবাই নানা পর্যায়ে চিকিৎসা পেশায় জড়িত। তিনিও নার্সিং বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে নার্সিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে কিছু করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। পরিবার প্রথমে আপত্তি করলেও তিনি চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন।

মঞ্চে (বাঁ থেকে) বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী, নারীনেত্রী মালেকা বেগম, অধিকারকর্মী সৈয়দা রত্না ও কারুশিল্পবিদ মঞ্জুলিকা চাকমা

উবারচালক মারিয়াম আক্তার জানালেন তাঁর জীবনসংগ্রামের কথা। নিজের একটি ব্যবসা ছিল। করোনাকালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক লোকসানে পড়েন। তখন নিরুপায় হয়ে উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের নিবন্ধিত চালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রথম প্রথম অনেকে তাঁকে দেখে বিস্মিত হতো। মারিয়ামের ভাষায় ‘এমনভাবে তাকাত, মনে হতো যেন চিড়িয়াখানার হরিণ দেখছে।’ কিন্তু তিনি দমে যাননি। রোজ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা তাঁর আয় হয়। মজার এক অভিজ্ঞতার কথা বলেন, একবার এক যাত্রী নিকুঞ্জ থেকে ধানমন্ডিতে এসে খুশি হয়ে তাঁকে ভাড়ার সঙ্গে এক কেজি মিষ্টি কিনে দিয়েছিলেন আর বকশিশ দিয়েছিলেন ৫০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘কাজের মধ্যে ছোট–বড় নেই। আমরা অনেকেই বিদেশ গিয়ে এমন অনেক কাজ করি, যা দেশে করতে পারি না। আমার কাজকে আমি সম্মান করি, আমি স্বাধীন।’

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠার নাসায় কাজ করছেন বাংলাদেশের তরুণ গবেষক লামিয়া আশরাফ মণ্ডল। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম যে ছবিটি তোলা হয়েছিল, লামিয়া সেই দলে ছিলেন। লামিয়া আশরাফ বলেন, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাজটি করতে হয় রাতে। মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাহাড়ের চূড়া বা দুর্গম জায়গায় যেতে হয়। নারীদের পক্ষে এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নারীদের অনেক ক্ষেত্রেই বহু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সেসব বাধা ভেঙেই সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

একই রকম প্রত্যয়ের কথা বললেন এএফসি এলিট প্যানেলে স্থান করে নেওয়া দেশের প্রথম নারী ফুটবল রেফারি সালমা আক্তার। তিনি বললেন, এত দূর আসতে পেরে ভালো লাগছে। তবে পথটা সহজ ছিল না। তাঁর লক্ষ্য বিশ্বকাপে এশিয়ার খেলাগুলো পরিচালনা করা।

অঙ্গদানকারী সারাহ ইসলামের ছবির পাশে তাঁর মা শবনম সুলতানা

এই কৃতী নারীদের ফুলের স্তবক দিয়ে অভিনন্দিত করেন অগ্রজেরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস বাংলাদেশের প্রথম নারী সভাপতি পারভিন মাহমুদ ও রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। রাশেদা কে চৌধূরী কৃতী নারীদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, তাঁদের এই সাফল্য, বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার সাহস নারীদের উজ্জীবিত করবে।

এরপর একটা অন্য রকম দৃশ্য। মঞ্চের নেপথ্য ডিজিটাল পর্দায় ভেসে এল এক তরুণীর মুখ। এই মুখ এখন অনেকে চেনা। বিষাদে–ভালোবাসায় আঁকা হয়ে আছে হৃদয়ে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে অকালে ঝরে যাওয়া ফুল সারাহ ইসলাম। তিনি মৃত্যুর আগে তাঁর অঙ্গ দান করে গেছেন। সারাহর দান করা অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন গ্রহীতারা। সারাহর মা শবনম সুলতানা এলেন মঞ্চে। উদ্‌গত অশ্রু আর বুকভাঙা শোক চেপে শোনালেন তাঁর সাহসী কন্যার কথা। বললেন তিনি আবার ফিরেছেন কর্মস্থলে। তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানালেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক।

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিয়া জুনেদ নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁর দুই মেয়ে। তিনি মেয়েদের স্বাধীনতা দিয়েছেন তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে। তারা বাস্কেটবল খেলতে যায়। কিন্তু আবার এটাও বলেছেন, সন্ধ্যার পরে বাইরে থাকা যাবে না। কারণ, সমাজে নানা ভয়ের কারণ আছে। সমাজের এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।

এরপর এক বিজয়ী মা এলেন মঞ্চে। পান্থপথে ছেলেকে নিয়ে শিশুদের খেলার মাঠ রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন সৈয়দা রত্না। তাই নিয়ে কত কাণ্ড। মা-ছেলেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তবে শেষাবধি আন্দোলন করে গেছেন সৈয়দা রত্না। তিনি বললেন অভিজ্ঞতার কথা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস করে দাঁড়াতে হবে। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলে জয় হবেই। তাঁকে অভিনন্দন জানান নারীনেত্রী ও গবেষক মালেকা বেগম এবং হস্ত ও কারুশিল্পবিদ মঞ্জিলিকা চাকমা। মন্তব্য করতে গিয়ে মালেকা বেগম বলেন, নারীদের এই সংগ্রাম ও প্রতিবাদের ঘটনাগুলো অত্যন্ত উদ্দীপনাময়। ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী এলেন মঞ্চে। তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রথম আলোর উপসম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া, যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান, অনলাইনপ্রধান শওকত হোসেন ও বার্তা সম্পাদক রাজীব হাসান।

ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনীতি) ডয়িন এডেলে সিয়নাবোলি ও জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, সিটি ব্যাংক–প্রথম আলোর এ আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। নারীর প্রতি যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তার ৬০ শতাংশ ঘটে নিজের পরিবারে। নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা মুখ বুজে থাকে। এই নিয়ে নারীদেরই প্রথম কথা বলতে হবে। তাঁরা সরব হলেই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।

এরপর দুই ভিনদেশি কৃতী নারী ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনীতি) ডয়িন এডেলে সিয়নাবোলি ও জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ ও প্রথম আলোর ইংরেজি সংস্করণের হেড অব কনটেন্ট আয়েশা কবির।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মঞ্চে আসেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য অনুসারে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমতায় সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। যাঁরা সমাজের অনেক নিচের অবস্থান থেকে উঠে এসেছেন, সংগ্রাম করেছেন, সাহস নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানানোর জন্যই এ অনুষ্ঠান।’

অনুষ্ঠানজুড়েই ছিল নারীদের সাহসী ভূমিকা আর অদম্য মনোবলের কথা। এরই দৃষ্টান্ত হিসেবে মতিউর রহমান মঞ্চে ডাকলেন সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রতিবাদ করা সাহসী মুখ ফুলপরী খাতুন, তাঁর বাবা আতাউর রহমান, মা তাসলিমা খাতুন ও তাঁর ভাইকে। তাঁরা মঞ্চে এলেন। সঙ্গে প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

স্বামীর সঙ্গে অদম্য মেধাবী বর্ষা রানী

ফুলপরী খাতুন কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ভর্তি হওয়ার মাত্র চার দিনের মাথায় তাঁর ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন শিক্ষার্থীদের এমন নির্যাতনের শিকার হতে না হয়।

ফুলপরীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাহস দিয়েছি প্রতিবাদ করতে। বলেছি আমরা সৎভাবে জীবন যাপন করি। সত্যের পথে চলি। এটাই আমাদের শক্তি। এটাই সাহস।’

এরপর এলেন রংপুরের তারাগঞ্জের অদম্য মেধাবী বর্ষা রানী। তিনি ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে এখন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি এবার বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি তাঁর জীবনসংগ্রাম ও প্রথম আলোর সহায়তার কথা তুলে ধরেন।

গানে শুরু, গানেই শেষ হলো অনুষ্ঠান। প্রিয়াঙ্কা গোপ এলেন গাইতে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন হেড অব কালচারাল প্রোগ্রাম কবির বকুল। প্রিয়াঙ্কা গাইলেন, ‘আজি নতুন রতন’, ‘আমি বনফুল গো’ আর সবাইকে নিয়ে ‘আমরা করব জয় একদিন’ গেয়ে আগামী দিনে জয়ের আশায় যবনিকা নামল অনুষ্ঠানের।

নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দর্শকেরা