আজ শ্রাবণ মেঘের দিন
কয়েক দিন ধরেই গুমোট গরম। শ্রাবণের আকাশে মেঘ উঁকি দেয়, বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বৃষ্টি আসবে। শুধু নামার অপেক্ষা। রোববার রাতে সে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। রাজধানীতে রাত যখন গাঢ় হতে চলেছে, এ সময় ঝুপ করে বৃষ্টি। তা এক পশলা ঝুমবৃষ্টি তো হলোই; তারপর থেমে থেমে হয়েছে।
আর আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি যা হলো, গরমে হাঁপ ধরে যাওয়া নগরবাসীর প্রাণ জুড়িয়েছে। এমন ঝরো ঝরো বাদর দিন না হলে কি আর শ্রাবণের গান শোনা যায়?
করোনা এমনিতেই বিষিয়ে তুলেছে নগরবাসীর জীবন, সবখানেই ছন্দ কেটে যাওয়া বেতাল পরিবেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাতলা পড়ে যাচ্ছে। ঘরবন্দী শিশুযুবা বৈচিত্র্যের আশায় ব্যাকুল। এর মধ্যে বৃষ্টির নূপুর একটুখানি ছন্দ এনে দিতে পারলে মন্দ কী?
অবশ্য যাঁদের অফিস আছে, বাইরে যাওয়ার তাড়া আছে, তাঁদের কথা আলাদা। বৃষ্টিবাদল যা–ই থাকুক, ছাতা মাথায় ছোটো। এতে অবশ্য বৈচিত্র আছে। আরে, বর্ষার রূপটাই তো এমন।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আজ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।