নমুনা দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে থাকা ব্যক্তির মৃত্যু
তিন দিন আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেন (৬০)। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। নমুনা পরীক্ষার কথা শুনে পালিয়ে যান তিনি। পরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিজের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
দেলোয়ারের বাড়ি উপজেলার কসবা সাগরপুর গ্রামে। তিনি কৃষক ছিলেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন মেহেদী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিন দিন আগে চিকিৎসা নিতে আসেন দেলোয়ার হোসেন। চিকিৎসা না নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যান তিনি। গতকাল বিকেলে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের উপসর্গ ছিল। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর বাড়ির অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আটজনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫৬৩। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় দুজন, খানসামায় ৩ জন এবং কাহারোল, চিরিরবন্দর ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় একজন করে মোট তিনজন আছেন।
জেলার সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলে অতি উৎসাহী বা আতঙ্কিত হয়ে নমুনা পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।