শেরপুরে মা-মেয়েসহ আরও ৭ জনের কোভিড শনাক্ত
শেরপুরে মা-মেয়েসহ আরও সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শেরপুর সদরে তিন ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় চারজন রয়েছেন। এই জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬০। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ জন। আর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের একই পরিবারের তিন সদস্য। তাঁরা হলেন এর আগে আক্রান্ত ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য সহকারীর স্ত্রী, কন্যা ও ভাতিজি। ওই স্বাস্থ্য সহকারীর করোনা শনাক্তের পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ ছাড়া ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের এক উদ্যোক্তাও আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক নারী অফিস সহকারী এবং সদর উপজেলার বাগরাকসা ও সাপমারী এলাকার দুই বাসিন্দা করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এই প্রথম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোনো কর্মচারী আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত সবাই বাসায় আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন) রয়েছেন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. মোবারক হোসেন এবং ঝিনাইগাতীর ইউএইচএফপিও মো. জসিম উদ্দিন শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সামাজিক ও পারিবারিক সংস্পর্শ থেকে এখন সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে করোনার উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।