ধরমপাশায় বন্ধুর দায়ের কোপে বন্ধু খুন
সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় বন্ধুর দায়ের কোপে মিলন মিয়া নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রংপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রংপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল মিয়া (৩২) এবং একই ইউনিয়নের নয়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা মিলন মিয়া (৩০) ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মিলন মিয়া মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবার (রসগোল্লা, জিলাপি, শিঙাড়া) তৈরির কারিগর ছিলেন। আর রবিউল দিনমজুর। ঘনিষ্ঠতার সুবাদে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর বাড়িতে প্রায়ই আসা–যাওয়া করতেন।
গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে রবিউলের বাড়িতে দুই বন্ধুর মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রবিউল ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে মিলনের তলপেটে কোপ মারেন। সঙ্গে সঙ্গে মিলন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই রবিউল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে ধরমপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান বলেন, ওই দুজন মাদকসেবী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা তিনি জানেন না।
ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আজ রোববার সকালে মুঠোফোনে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মিলনের লাশ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
ধরমপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল বলে মনে হয় না। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।