লোহাগাড়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, ভবন লকডাউন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় প্রথমবারের মত ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মী । আজ শনিবার সকালে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। তাঁর স্ত্রী লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স হিসেবে কর্মরত। সেই সূত্রে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে বসবাস করেন। ওই ভবনটি শুক্রবার দিবাগত রাতে লকডাউন করা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর আগে থেকে শ্বাস কষ্ট (হাঁপানি) ছিল। তা ছাড়া তিনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। সাতকানিয়ায় বেশ কয়েকজন করোনা রোগী পাওয়া যাওয়ায় গত ২৩ এপ্রিল ওই স্বাস্থ্যকর্মীসহ তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল শুক্রবার রাতে ওই নমুনাগুলোর ফলাফল পাওয়া যায়। এতে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা পজিটিভ আর পরিবারের দুই সদস্যের নেগেটিভ ফল আসে। তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসায় বসবাস করছেন।
মোহাম্মদ হানিফ আরও বলেন, করোনা পজিটিভ আসা ওই স্বাস্থ্যকর্মী আপাতত সুস্থ আছেন। তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়েই কোনো করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তির সংস্পর্শের কারণে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যে ভবনে বসবাস করেন শুক্রবার দিবাগত রাতেই ওই ভবন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ভবনে সাতটি পরিবার বসবাস করছেন। তৌছিফ আহমেদ বলেন, ওই ভবনের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এর পাশের লোকজনকে করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।