পাঁচ টাকায় কর্মহীন মানুষ পাচ্ছে চাল-ডাল

ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি বাসটার্মিনাল এলাকার স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার সদস্যরা এক নারীর হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো
ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি বাসটার্মিনাল এলাকার স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার সদস্যরা এক নারীর হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো

পাঁচ টাকা দিয়ে একটি কুপন কিনলেই পাওয়া যাবে চাল–ডালসহ আট ধরনের নিত্যপণ্য। ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি বাসটার্মিনাল এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে যাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের এই সহায়তা দিচ্ছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সহায়তা দান বা অনুগ্রহ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না বলে সেবাগ্রহীতা মনে করবেন—এমন চিন্তা থেকেই পাঁচ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠনটির সদস্যা ধারণা করছেন।

স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার কয়েকজন সদস্য বলেন, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি যাঁরা বাড়ি থেকে বাইরে নামতে পারছেন না, তাঁদের বাড়িতেও পাঁচ টাকার বিনিময়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।

স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার কয়েকজন সদস্য আরও বলেন, তাঁরা গতকাল শুক্রবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন। শুরুতে ১০০ পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ টাকা দিয়ে কুপন কিনে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি তেল, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক প্যাকেট লবণ, একটি মাস্ক ও একটি সাবান। তাঁরা আরও বলেন, খাদ্যসামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে অথচ সামাজিক কারণে রাস্তায় নামতে পারছেন না, এমন ব্যক্তিরা মুঠোফোনে কল করলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে এসব নিত্যপণ্য। বিনিময়ে দিতে হবে মাত্র পাঁচ টাকা।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কৃষ্ণকাঠিতে এলাকায় স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় গিয়েও দেখা যায়, কর্মহীন পরিবারের সদস্যরা খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করছেন। গতকাল ওই সংগঠনের সভাপতি এইচ এম রিয়াজ খান কর্মহীন মানুষের হাতে চাল-ডাল-তেল তুলে দিয়েছেন। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এইচ এম রিয়াজ খান জানান, এ কাজে তাঁদের টাকা দিয়ে তাঁদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজন সহায়তা করছেন।

এ ছাড়া ঝালকাঠি শহরের কালীবাড়ি সড়কের ইন্টারনেটের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মাইনেটের পরিচালক আসিফ ইকবাল তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় ৮৫টি দরিদ্র পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ২০ কেজি করে চালসহ ১৪টি নিত্যপণ্য। চাল ছাড়াও প্রতিটি পরিবারকে দুই কেজি করে আলু, আটা, এক কেজি করে ডাল, মুড়ি, চিনি, পেঁয়াজ ও এক লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি করে চিড়া, রসুন, হুইল পাউডার, আধা লিটার সরিষার তেল ও দুটি করে সাবান দেওয়া হয়েছে।