ধানমন্ডিতে অনেক কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট নেই, ভোটারও কম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন ধানমন্ডি এলাকায় বিএনপির কোনো এজেন্টের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ভোট শুরুর দুই ঘণ্টা হলেও ভোটার উপস্থিতি কম।
ধানমন্ডির সাতটি কেন্দ্র ঘুরে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কোনো এজেন্টের দেখা মেলেনি। সরকারি দলের এজেন্ট ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। কিছু কেন্দ্রে হাতপাখার এজেন্ট আছে।
প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী সাজেদা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো এজেন্ট এখানে নেই।’ পরে ওনাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় সব কেন্দ্র ঘুরে দেখছি, কোথাও ধানের শীষের এজেন্ট নেই। আমাদের কাউন্সিলর পদেরও এজেন্ট নেই।’ তিনি বলেন এজেন্টরা তাঁকে জানিয়েছেন যে এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, কেউ ঢুকতে পারেননি।
সাতটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের কাছে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট এসে রিপোর্ট করেননি। ধানমন্ডির সরকারি কর্মচারী কল্যাণ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র পদের নৌকা ও হাতপাখার এজেন্ট আছে, তবে অন্য কোনো মার্কার কেউ এখনো আসেননি। এ কেন্দ্রে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৪০টি। এবার ইভিএম হওয়ায় মনিটরে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
ধানমন্ডির অন্য কেন্দ্রগুলোতেও ভোটার উপস্থিতি কম। আনন্দ বিদ্যা নিকেতন স্কুল কেন্দ্রের সামনে এসে কামাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলছিলেন, ভোটার খুব কম। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের ধানমন্ডি এলাকার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, একটু ঠান্ডা আবহাওয়া, তাই সকালের দিকে মানুষ কিছু কম। বেলা বাড়লে ভোটার আসতে শুরু করবে।
ধানমন্ডির কাকলি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম দেড় ঘণ্টায় কয়েকটি বুথে ভোটই পড়েনি। ধানমন্ডির অন্য কেন্দ্রগুলোতেও একই অবস্থা। একটি কেন্দ্রের পোলিং কর্মকর্তা বলেন, ইভিএম হওয়ায় অনেকে ভোট ঠিকমতো দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে হয়তো সন্দেহ থাকতে পারে, সে কারণেও ভোটার কম হতে পারে।
ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভোটাররা। সাজেদা আকতার নামের এক ভোটার বলেন, ‘ইভিএমে দেওয়ায় ভালোই লেগেছে। কখন কী করতে হবে মেশিন বলে দিচ্ছিল, নিজের কাছে নিশ্চিন্ত হয়েছি যে ভোটটা ঠিক জায়গাতেই পড়েছে।
তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোটার বলেন, পর্দা দেওয়া থাকলেও মনে হচ্ছে অন্য কেউ হয়তো মনিটর দেখেছে। আর মেশিন বলে তার ভোট ঠিক জায়গায় পড়বে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেল, পোলিং কর্মকর্তারা ভোটারদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে ভোট দিতে হবে।