করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সীতাকুণ্ডে ১০ শয্যার ইউনিট
করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিশেষায়িত হাসপাতালে আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডিতে) হাসপাতালের ১০ শয্যার ইউনিট। হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ওই হাসপাতালে চীন ফেরত দুই শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান। তাঁরা ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁদের আগামী কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা গত ২৪ জানুয়ারি চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন।
বিআইটিআইডির বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে তাঁদের হাসপাতালে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৪ জানুয়ারি হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটের দুটি কক্ষ খালি করে ১০ শয্যার (প্রতি কক্ষে ৫ শয্যা) আইসোলেটেড (পৃথক) ইউনিট খোলা হয়।
মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, করোনাভাইরাস যেহেতু সংক্রামক ব্যাধি। তাই এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে রোগীকে বিশেষ পোশাকে রাখতে হয়। সরকার পর্যাপ্ত পোশাক তাদের পাঠিয়েছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য তাঁর নিজের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল কাজ করবে। সমস্যা হলো তাঁদের হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) না থাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
অধ্যাপক মামুনুর রশীদ বলেন, যে দুই ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
বিমানবন্দর কিংবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা কোনো লোককে এ রোগে আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাঁদের এই হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।