৪২ টনের জায়গায় আধা টন
চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা দুটি কনটেইনারে থাকার কথা ছিল ৪২ হাজার কেজি তামার টুকরো। তবে কটেইনার দুটি খুলে পাওয়া গেছে ৪১৯ কেজি তামার টুকরো। গতকাল বুধবার বন্দর চত্বরে এই ঘটনা শনাক্ত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের মেহেদীবাগের আমীরবাগ এলাকার ওয়েন্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের নামে এই চালান দুটি আনা হয়। গত ২২ জানুয়ারি পণ্য চালানটি খালাসের জন্য নথিপত্রও জমা দেয় আমদানিকারক। তাতে আমদানিমূল্য দেখানো হয় ৪৪ হাজার ৫২০ ডলার। গতকাল খালাস পর্যায়ে পরীক্ষার সময় পণ্য কম আসার বিষয়টি শনাক্ত হয়।
জানতে চাইলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. মাসুদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার দুটি খুলে সাড়ে ৪১ হাজার কেজি পণ্য কম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও পণ্যভর্তি কনটেইনারের স্থলে রপ্তানিকারকেরা খালি বা বালিমাটি পণ্য পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণত দুই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এই দুটি হলো মুদ্রা পাচার অথবা রপ্তানিকারকের প্রতারণা। সাধারণত পণ্যের মূল্য কম হলে সেক্ষেত্রে রপ্তানিকারক প্রতারণা করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এরপরও ব্যাংকিং চ্যানেলে পণ্যের মূল্য পরিশোধ হয়ে গেলে তা ফেরত এনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হয়। না হলে আইনগতভাবে মুদ্রা পাচারের দায়ে অভিযুক্ত হন আমদানিকারকেরা।