গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী: এই আদেশ একটি সূচনা
রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার বিপদ থেকে সুরক্ষার দাবিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দ্বারস্থ হওয়া গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশকে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ নিপীড়ন ও বঞ্চনার অবসানের পথে একটি ছোট পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, এই আদেশ এক দিনে রোহিঙ্গাদের জীবন বদলে দেবে না। তবে এটি একটি প্রক্রিয়ার সূচনা, যার মাধ্যমে আমরা আশা করি, একদিন তারা নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফিরে যেতে পারবেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার আইসিজের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পর তামবাদুর কাছে প্রথম আলোর প্রশ্ন ছিল, মিয়ানমারের সরকারের প্রতি তাঁর কোনো বার্তা আছে কি না? জবাবে তামবাদু বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আইনের শাসনে বিশ্বাসী হয়ে আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে মিয়ানমার মানবাধিকার ও মানবতার মৌলিক দায়িত্ব পালনের দায় এড়াতে পারে না।’ তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিতে দেশটির যে দায়িত্ব রয়েছে রাখাইনে উপযুক্ত ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য তিনি মিয়ানমারের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে তামবাদু বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে সেই পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থায় কিছুটা পশ্চাদগামিতা ঘটলেও আদালতের এই আদেশে আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থার উপযোগিতা প্রমাণিত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।