পরিকল্পিত খুনের শিকার হকার্স লীগ নেতা রিপন
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় হকার্স লীগ নেতা মো. রিপনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। তিনি দাওয়াত খেতে আসবেন আগে থেকে জানতেন খুনে অংশগ্রহণকারীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন মো. এমদাদ। প্রথমে কিলঘুষি পরে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। এই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামির জবানবন্দি ও তদন্তে উঠে আসে এসব তথ্য।
নিহত মো. রিপন বায়েজিদ বোস্তামী থানার বাংলাবাজার এলাকার হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সিটি করপোরেশন ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর সাহেদ ইকবালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ দিকে রিপন হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাবাজার এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন রিপন। ফেরার পথে পথ রোধ করে ২০ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি তাঁকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে একটি গলির ভেতর নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় যুবলীগ নামধারী এ এম মহিউদ্দিন, দিদারুল আলম, জসিমসহ ৩০ জনকে আসামি করেন। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধে৵ মো. মুবিন গত বুধবার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে মুবিন বলেন, শেরশাহ খয়রাতি সিমেন্টের গলির মুখে এমদাদের নেতৃত্বে সার্জিল বাবু, মহিন উদ্দিন, ডিবি ফয়সাল, ফজল আমিন, সেলিম বাদশাসহ কয়েজন প্রথমে চড়থাপ্পড় মারেন রিপনকে। পরে এমদাদ ছুরিকাঘাত করেন রিপনকে। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁরা রিপনকে খুন করতে জড়ো হন।
মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের আড়াই বছর বয়সী এক কন্যাশিশু রয়েছে। সে বাবাকে খুঁজছে। তাকে কী বলে সান্ত্বনা দিবে ভাষা জানা নেই। ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চান তিনি।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।