ফরিদপুরে কিশোরী হত্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমা বেগম (১৪) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াছিন খান (২৫) নামের এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর জোড়া সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শহরের ঝিলটুলি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেমা। এর সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর শহরের দক্ষিণ কালীবাড়ি এলাকার টেলিগ্রাম অফিসের চত্বর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফরিদা রাজেন্দ্র কলেজসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এলাহি শরিফের মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সে বড়। পুলিশ ধারণা করে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গতকাল রাতে শহরের ওয়ারলেসপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াছিন খানকে। পুলিশের কাছে তিনি ফাতেমাকে অপহরণ এবং ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সময় ইয়াছিন যে কাপড় পরিহিত ছিল এবং হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে পূর্ব খাবাসপুর জোড়া ব্রিজের ওখানে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি পুলিশের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধস্তাধস্তিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যকেও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।