খালেকের মাফলার
শনিবার দুপুর। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় আগুনে পোড়া প্লাস্টিক কারখানার সামনে পুলিশের পাহারা। সেখানে ইতস্তত ঘোরাফেরা করছেন এক যুবক। কাছে গিয়ে নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি খানিকটা ভড়কে যান। পরে কথা বলে জানা যায়, ওই যুবক অগ্নিকাণ্ডে নিহত তাঁর এক বন্ধুর মাফলার দেখতে এখানে এসেছেন।
যুবকের নাম সোহাগ মিয়া। তিনি ও খালেক নামের কারখানার আরেক কর্মী একই ইউনিটে কাজ করতেন। দুজনের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বুধবার আগুন লাগার আগে তাঁরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। খাওয়ার পর গরম লাগলে খালেক গলার মাফলার খুলে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখেন। আগুন লাগার পর সোহাগ সেখান থেকে নিরাপদে বের হতে পারলেও খালেক পারেননি। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সোহাগ বলেন, ‘বন্ধু খালেকের কথা খুব মনে পড়তেছিল। কারখানার আরেক স্টাফের কাছে শুনছি খালেকের মাফলারটা নাকি এখনো কারখানার দেয়ালে ঝুলতাছে। তাই দেখতে আসছিলাম। কিন্তু কারখানার সামনে পুলিশ থাকায় ঢোকার সাহস পাই নাই।’
সোহাগের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত্যুর পর খালেককে বরগুনার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।