ঝড়বৃষ্টি আর দাবদাহে কাটবে দিন
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের পর গরম। এরপর টানা নয় দিনের দাবদাহ। মাঝে দুদিন কালবৈশাখীর সঙ্গে হালকা বৃষ্টি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর কালবৈশাখীর ঝাপটা লাগে দেশের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে। তবুও জ্যৈষ্ঠ মাসে সূর্যতাপ মোটেই কমছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শনিবারের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চল এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
দাবদাহ বয়ে গেলেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু–এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চল আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কালবৈশাখীর প্রভাবে গতকাল রাতে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২৩ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেট ৪৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া রংপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২৭, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১৬, রাজশাহীতে ১৪, ফেনী ও চট্টগ্রামে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টিশূন্য ছিল পুরো দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল। তাই এই অঞ্চলে তাপমাত্রাও তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৭, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৭ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিনের মধ্যে আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।