খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই এএসআই গ্রেপ্তার
খুলনায় এক নারীকে দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা দাবি করায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় মামলা হওয়ার পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারণায় সহায়তা করা ওই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা শহরের নিরালা এলাকার ব্যবসায়ী সঞ্জিত শীল প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে মামলাটি করেন। গ্রেপ্তার দুই এএসআইসহ মোট চারজনকে আসামি করে মামলা করেন সঞ্জিত।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই এএসআই হলেন মো. সিফাতুল্লাহ ও মো. মিরান উদ্দিন। সিফাতুল্লাহ সদর থানা এলাকার টুটপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ও মিরান গল্লামারী পুলিশ বক্সে কর্মরত ছিলেন। প্রতারণায় সহায়তা করা নারীসহ দুই এএসআইকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
কেএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (আরডিসি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ওই নারীকে দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ী সঞ্জিতের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন দুই এএসআই। ওই ব্যবসায়ী তাঁদের সাড়ে ২৭ হাজার টাকাও দেন। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আরও বেশি টাকা দাবি করলে সঞ্জিত ওই দুই এএসআইর বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।