বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ!
নরসিংদীর শিবপুরে বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকার একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার মা বাদী হয়ে শিবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও মো. শফিক (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিরা হলেন মো. মোখলেছ (৩২), মো. বাদল (৪২), বাবু মিয়া (২৫) ও মো. আলমগীর (৪০)। সবার বাড়ি শিবপুরের সৃষ্টিগড় এলাকায়।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গতকাল বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে হবিগঞ্জে ফিরছিলেন তাঁরা মা-মেয়ে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বিকল হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি তাঁদের আরেকটি বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সামনের দিকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা মেয়েকে টেনে নিয়ে যান। মেয়েকে ফেরাতে মা দৌড়ে যান। এরপর স্থানীয় একটি পাটকলের পরিত্যক্ত ঘরের দুটি কক্ষে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই ছয় ব্যক্তি। মা-মেয়ের চিৎকারে আসামিরা পালিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় শিবপুর থানার পুলিশ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর দেলোয়ার ও শফিক পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই মা ও মেয়ের বয়স যথাক্রমে ৫২ ও ৩০ বছর।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ আমীরুল হক শামীম বলেন, মা-মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আগামীকাল সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার এই বিষয়ে বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমেনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি চার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।