পৌরসভার নাগরিকদের নিয়ে মেয়রের মেজবান
>.হেঁশেলে শতাধিক ডেকচিতে রান্না
.সব নাগরিক পরিপাটি হয়ে মেজবানে এসেছেন
.পিকনিক পিকনিক পরিবেশ
হেঁশেলে শতাধিক ডেকচিতে রান্না হয়। চলে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আর মা-মেয়েদের পিঠা উৎসব। বিশেষ আকর্ষণ ছিল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
ভোলা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় ৩০ হাজার পৌর নাগরিক গতকাল শনিবার উপস্থিত হন পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নিমন্ত্রণে। ভোলা পৌরসভার বাসিন্দারা এক দিনের আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন। এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয় মেয়র মেজবান–২০১৯।
বেলা ১১টায় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ. মমিন মেয়র মেজবানের উদ্বোধন করেন। বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, ডেপুটি কমান্ডার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুছ প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা পৌরসভার শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষসহ সব নাগরিক পরিপাটি হয়ে মেজবানে এসেছেন। মেয়রের সঙ্গে সবাই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পৌরসভার ব্যবসায়ী আলী নেওয়াজ বলেন, সবাই আনন্দ করছেন। পৌর নাগরিকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে অনুষ্ঠানটি।
এ রব স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এসে অনেক পুরোনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। পিকনিক পিকনিক মনে হচ্ছে। ভালোই।’
অনুষ্ঠানে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেল ৪টায় শুরু হয় নাগরিকদের সঙ্গে পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের মতবিনিময় সভা। সেখানে ভোলা পৌরসভাকে কীভাবে আরও সুন্দর-সুশৃঙ্খল, যানজটমুক্ত, মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত ও নারীদের জন্য নিরাপদ করা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিকেল ৫টায় ভোলার স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। পরে রাত ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ভোলা পৌরসভায় ১৩ হাজার ২৭৬টি হোল্ডিং আছে। সবাইকে কার্ড দিয়ে এ অনুষ্ঠানে আসার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০ হাজার মেহমান এসেছেন। নাগরিকেরা যেভাবে পৌরসভাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন, তাঁদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।