স্বামীর লাশ দাফন করতে গিয়ে স্ত্রী আটক
সাভারে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ফয়সাল মোল্লার (২৮)। তাঁর স্ত্রীর ভাষ্য, ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন। সেই লাশ দাফন করতে স্ত্রী আসেন শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের ঘটনায় ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন।
একপর্যায়ে ফয়সালের পরিবারের লোকজনসহ গ্রামবাসী মিলে তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের লোকজনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ফয়সালের স্ত্রীসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও ফয়সালের স্বজনেরা জানান, ফয়সাল সাভারে একটি পোশাক কারাখানায় মেকানিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রীও সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
ফয়সালের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সাভারের বাসার একটি কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফয়সাল ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফয়সালের বাবা ওহিদুজ্জামান মোল্লা বলেন, তাঁর ছেলে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁর ছেলের বউ অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল করিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফয়সালের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।