চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় মোস্তফা মোরশেদের মা জোবেদা খানম এ মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় আসামি হিসেবে মোস্তফা মোরশেদের স্ত্রী চিকিৎসক তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, শ্বশুর আনিসুল হক চৌধুরী, শাশুড়ি শামীম শেলী, শ্যালিকা সানজিলা হক চৌধুরী, স্ত্রীর বন্ধু মাহবুবুল হক ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভারতীয় নাগরিক প্যাটেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের নন্দন কানন এলাকার এক বাসা থেকে তানজিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবাইর সৈয়দ প্রথম আলোকে বলেন, ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করে নিহত চিকিৎসকের মা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার তানজিলাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মোস্তফা মোরশেদ আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানসিক যন্ত্রণা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করায় আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মৃত্যুমুখে পড়েন মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। ২০০৯ সালে তানজিলার সঙ্গে আকাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তানজিলা। বিয়ের পূর্বে ও পরে তিনি আসামি প্যাটেল ও মাহাবুবের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেন। তানজিলাকে বারবার শোধরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে অন্য আসামিদের চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেন মোস্তফা মোরশেদ।
এদিকে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিনে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তারের পর তানজিলা জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর অভিযোগের কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। আর কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।